নিজস্ব প্রতিবেদক
আন্তর্জাতিক তথ্য সংস্থা ব্লুমবার্গের এনভায়রনমেন্ট, সোশ্যাল অ্যান্ড গভর্ন্যান্স (ইএসজি) তালিকায় নতুন করে আরও তিনটি বাংলাদেশি কোম্পানি স্থান করে নিয়েছে। এর ফলে ওই তালিকায় বাংলাদেশের শেয়ারবাজারের মোট কোম্পানির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০টি-তে।
নতুনভাবে অন্তর্ভুক্ত হওয়া তিন কোম্পানি হলো: বিএসআরএম লিমিটেড, লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ এবং এমজেএল বাংলাদেশ।
এদিকে ব্লুমবার্গের তালিকায় নতুন করে স্থান পাওয়া কোম্পানিগুলো বিজনেস আই বাংলাদেশ এর কাছে তাদের অভিমত ব্যক্ত করেছেন। পাঠকদের জন্য তাদের অভিমত প্রকাশ করা হলো।
বাংলাদেশ স্টিল রি-রোলিং মিলস লিমিটেড-বিএসআরএম লিমিটেড-এর কোম্পানি সচিব শেখর রনজন কার বলেন, ব্লুমবার্গের তালিকায় যুক্ত হতে পেরে আমরা অনেক খুশি। এরফলে বিদেশী লোন পেতে কোম্পানির সুবিধা হবে। আগামী বছর কোম্পানির ব্যবসা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আগামী বছর ব্যবসা কেমন হবে তা এখনই বলা যাবে না। আমরা সবাই বর্তমানে অবস্থান করছি। ভবিষ্যতে আমাদের কোম্পানির ব্যবসা কেমন হবে তা সময়েই বলে দেবে।
এমজেএল বাংলাদেশ পিএলসি-এর কোম্পানি সচিব মো. রকিবুল কবির বলেন, ব্লুমবার্গের তালিকায় স্থান পাওয়ায় আমরা অনেক খুশি। সংস্থাটি সম্ভাবত সুশাসন ও অর্থনৈতিক ভিত্তি দেখে আমাদের কোম্পানিকে তালিকাভুক্ত করেছে। আগামী বছর কোম্পানির ব্যবসা সম্পর্কে তিনি বলেন, বিদায়ী বছরে আমরা ব্যবসা ভালো করেছি। আগামী বছর ব্যবসা কেমন হবে তা সঠিকভাবে বলতে পারবো না। তবে আশা করি ভালো কিছুই হবে।
লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ পিএলসি-এর কোম্পানি সচিব কাজী মিজানুর রহমানকে ফোন করা হলে তিনি কথা বলতে অপারগত প্রকাশ করেন। তবে লিখিত বক্তব্যে কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ ইকবাল চৌধুরী জানান, ব্লুমবার্গ সাসটেইনেবিলিটি লিস্টে স্বীকৃত বাংলাদেশের দশটি কোম্পানির মধ্যে থাকতে পেরে আমরা সম্মানিত। আমাদের জিওসাইকেল প্রকল্পের মাধ্যমে, আমরা সক্রিয়ভাবে বাংলাদেশের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করছি।
উল্লেখ্য, এর আগে ২০২৩ সালে প্রকাশিত টেকসই উন্নয়ন প্রতিবেদনে তালিকাভুক্ত ৭ কোম্পানির মধ্যে রয়েছে: বিএটি বাংলাদেশ (বিএটিবি), গ্রামীণফোন, ম্যারিকো বাংলাদেশ, ব্র্যাক ব্যাংক, আইডিএলসি ফাইন্যান্স, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস এবং ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ। বাংলাদেশের কর্পোরেট জগতে টেকসই উন্নয়নের ক্ষেত্রে এই প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। ব্লুমবার্গ এই তালিকায় স্থান পাওয়ার জন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর টেকসই উদ্যোগের স্বেচ্ছায় তথ্য সংগ্রহ করে এবং এই মূল্যায়নে গুণগত তথ্যের তুলনায় পরিমাণগত তথ্যের ওপর বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়।