দেশে মোট খেলাপি ঋণের ৭০ শতাংশই এখন মাত্র ১০টি ব্যাংকের মধ্যে সীমাবদ্ধ। তিন মাস আগেও এই হার ছিল ৫১ শতাংশ। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত ‘ফাইন্যান্সিয়াল স্ট্যাবিলিটি অ্যাসেসমেন্ট রিপোর্ট’-এ এই তথ্য উঠে এসেছে। যদিও ওই প্রতিবেদনে ব্যাংকগুলোর নাম প্রকাশ করা হয়নি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শীর্ষ ঋণগ্রহীতারা খেলাপি হলে ২৯টি ব্যাংক তাদের ন্যূনতম মূলধন সক্ষমতা (সিআরএআর) বজায় রাখতে ব্যর্থ হতে পারে। ২০২৪ সালের জুন শেষে শীর্ষ পাঁচ ব্যাংকে খেলাপি ঋণের ঘনত্ব ছিল ৫৪ শতাংশ, যা ১০ ব্যাংকে বৃদ্ধি পেয়ে ৭০ শতাংশে পৌঁছেছে।
২০২৪ সালের জুন প্রান্তিকে মোট খেলাপি ঋণের মধ্যে:
এ ধরনের খারাপ ও মন্দ ঋণ সবচেয়ে বড় উদ্বেগের কারণ বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
২০২৪ সালের জুন শেষে মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ২.১১ লাখ কোটি টাকা, যা মোট বকেয়া ঋণের ১২.৫৬ শতাংশ। তবে সেপ্টেম্বর শেষে খেলাপি ঋণ বেড়ে দাঁড়ায় ২.৮৫ লাখ কোটি টাকায়, যা মোট বকেয়া ঋণের ১৭ শতাংশ।
শীর্ষ পাঁচ ও ১০ ব্যাংকে খেলাপি ঋণের ক্রমবর্ধমান কেন্দ্রীকরণ গোটা ব্যাংকিং খাতের জন্য বড় ধরনের উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই প্রবণতা দ্রুত মোকাবিলা করা না গেলে সামগ্রিক আর্থিক স্থিতিশীলতায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।