পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত খাদ্য-আনুসঙ্গিক খাতের কোম্পানি এমারেল্ড অয়েলের আকাশছোঁয়া দর বৃদ্ধি যেন কোনভাবেই থামছিল না। অবশেষে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে যাওয়ার পরেই বড় দরপতন হয়েছে কোম্পানিটির। মঙ্গলবার কোম্পানিটির ১০ শতাংশ দরপতন হয়ে টপটেন লুজার তালিকার শীর্ষে রয়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) তথ্য অনুযায়ী, এদিন এমারেল্ড অয়েলের শেয়ার দর ৩ টাকা ৩০ পয়সা বা ১০ শতাংশ কমে সর্বশেষ ২৯ টাকা ৭০ পয়সা দরে লেনদেন হয়। আজ কোম্পানিটির ১৩৯ বারে ৪৭ হাজার ৭৭১টি শেয়ার লেনদেন হয়।
প্রসঙ্গত, কোম্পানিটির উৎপাদন ৬ মাসেরও বেশি বন্ধ রয়েছে। আর এমন খবর সংবাদপত্র ও ডিএসইতে প্রকাশের পরেও শেয়ারটির দর বৃদ্ধি কোন ভাবেই থামছিল না। কারসাজির মাধ্যমে শেয়ারটির দর লাগামহীনভাবে বেড়েই চলছিল। অবশেষে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ডে এক্সচেঞ্জ কমিশনের নির্দেশে (বিএসইসি) ডিএসই কোম্পানিটিকে ‘জেড’ ক্যাটারিতে স্থানন্তর করে। এর ফলে মঙ্গলবার লেনদেনের শুরু থেকেই শেয়ারটির দর কমতে থাকে। ডিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ দরপতন হয় এমারেল্ড অয়েলের।
ডিএসইর তথ্য মতে, গত ২৪ নভেম্বর থেকে ১ ডিসেম্বর পরযন্ত শেয়ারটির দর অস্বাভাবিকভাবে বাড়তে থাকে। এই সময়ে শেয়ারটির দর ২৪ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ৩৪ টাকা ৫০পয়সা পরযন্ত বৃদ্ধি পায়।
এদিকে কোম্পানির পক্ষ থেকে ডিএসইকে জানানো হয়, পরযাপ্ত গ্যাস সরবাহের অভাবে কারখানার উৎপাদন চলতি বছরের জানুয়ারি মাস থেকে বন্ধ রয়েছে। কোম্পানিটির উৎপাদন বন্ধ থাকলেও কারখানা চালু রয়েছে বলে জানায় এমারেল্ড অয়েল।
কোম্পানিটি এখনও চলতি অর্থবছরের কোন বোর্ড সভা অনুষ্ঠান করেনি। আর বোর্ড সভা কবে করবে সে ব্যাপারেও কোন তথ্য জানায়নি ডিএসইতে।
উল্লেখ্য, কোম্পানিটির পুঞ্জীভূত লোকসান রয়েছে ১৮৫ কোটি ৯০ লাখ টাকা। কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ১০০ কোটি টাকা এবং পরিশোধিত মূলধন ৯১ কোটি ২৭ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট শেয়ার রয়েছে ৯ কোটি ১২ লাখ ৭২ হাজার ৪টি।