শীতে যেসব রোগ সবচেয়ে বেশি হয় তা হলো সর্দি-কাশি, ঠান্ডা-জ্বর। সাধারণত ইনফ্লুয়েঞ্জা এবং প্যারা ইনফ্লুয়েঞ্জার মাধ্যমে এ রোগ হয়। এই রোগটি মূলত ভাইরাস জনিত। ঠান্ডার অন্যান্য উপসর্গ ছাড়াও এ রোগের ক্ষেত্রে জ্বর ও কাশিটা খুব বেশি হয় এবং শ্বাসকষ্টও হতে পারে।
চিকিৎসকদের কাছে সমস্যাটি ‘কমন কোল্ড’ হিসেবে পরিচিত। দুইশ’র বেশি ভিন্ন ভিন্ন ভাইরাস সর্দি-জ্বরে ভোগাতে পারে। হঠাৎ ঠান্ডা লাগা বা সর্দিজ্বর হওয়া যে কারো জন্য খুবই সাধারণ একটি বিষয়। খুব সামান্য কারণেই ঠান্ডা বা সর্দিজ্বরে আক্রান্ত হতে পারে যে কেউ। ঠান্ডা বা সর্দিজ্বর মানুষকে খুবই সামান্য কারণে যেমন ভোগাতে পারে, তেমনি সহজেই সেরেও যেতে পারে।

শীতের মরসুমে কিভাবে নিজেকে সর্দি-কাশি, ঠান্ডা-জ্বর থেকে সুরক্ষিত রাখবেন ?
১) এই সময়ে কখনও কখনও ফ্যান, এসি না চালালে গরম লাগে, আবার চালালে ঠান্ডা লাগে। গরম লাগছে বলে খুব জোরে ফ্যান চালাবেন না ভুলেও, এসির তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে যেন না করা হয়, সে দিকেও সতর্ক থাকুন।
২) যাদের ঠান্ডা লাগার ধাত রয়েছে, তারা এই মরসুমে ঠান্ডা পানিতে গোসল করবেন না। শীতের সময়টা ঈষদুষ্ণ পানিতে গোসল করাই ভাল। ভোরবেলা হোক কিংবা অফিস থেকে ফিরে— যখনই গোসল করবেন, গরম পানিতে করুন।

৩) শীতের সময়ে অল্প সর্দি-কাশি হলেও আগে থেকেই লবণ পানিতে গার্গেল শুরু করুন। গরম পানিতে ভাপ নিন নিয়মিত।
৪) বাড়িতে কারও সর্দি-কাশি হলে শিশুদের তার কাছে যেতে না দেওয়াই ভাল। অফিসের ভিতরে এসিতেই অনেকটা সময় কাটে অনেকের। অফিসে কারও সর্দি-কাশি হলে নিজেকে সাবধানে রাখুন। প্রয়োজনে তাকে মাস্ক পরতে বলুন বা নিজে মাস্ক ব্যবহার করুন। ঘন ঘন হাত ধোয়ার অভ্যাস করুন। হাত না ধুয়ে মুখ-চোখে কিংবা নাকে হাত দেবেন না। বাইরে বেরোলে মাঝেমাঝেই হাত স্যানিটাইজ করুন।