শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের কোম্পানি হাওয়া-ওয়েল টেক্সটাইল তালিকাভুক্তির পর থেকে বিনিয়োগকারীদের কখনো হতাশ করেনি। টানা ১১ বছর ধরে কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের নগদ লভ্যাংশ দিয়ে আসছে। কোম্পানিটির মুনাফতেও রয়েছে ধারাবাহিক উত্থান।
হাওয়া-ওয়েল টেক্সটাইল আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে এ তথ্য জানা গেছে।

ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, কোম্পানিটি ২০১৪ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। কোম্পানিটি ২০১৪ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত বিনিয়োগকারীদের ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। ২০১৮ ও ২০১৯ সালে কোম্পানিটির লভ্যাংশ বেড়ে ১৭ শতাংশে দাঁড়ায়। কোম্পানিটি ২০২০ ও ২০২১ সালে ২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল। এছাড়া ২০২২ ও ২০২৩ সালে কোম্পানিটির লভ্যাংশ ৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ২৫ শতাংশে উন্নীত হয়।
চলতি বছরের ৩০জুন,২০২৪ সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটির মুনাফা কিছুটা কমে যায়। এতে কোম্পানিটির লভ্যাংশের হারও কমেছে। আলোচ্য বছরে কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। বছর শেষে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৩ টাকা ১৯ পয়সা। যা আগের বছর একই সময় ছিল ৫ টাকা ৯৪ পয়সা।
এ ক্যাটাগরির কোম্পানিটি বর্তমানে পুঁজিবাজারে ৪১ টাকা ৩০ পয়সা দরে লেনদেন হচ্ছে। কোম্পানিটির মোট রিজার্ভের পরিমাণ ১৫৫ কোটি ৫৬ লাখ টাকা।

হা-ওয়েল টেক্সটাইলের পুঁজিবাজারে ৫ কোটি ৬০ লাখ শেয়ার রয়েছে। এর মধ্যে কোম্পানির উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে ৫০.৮৩ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ৮.৩৭ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে দশমিক ০.০৬ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৪০.৭৪ শতাংশ শেয়ার আছে।