ঢাকা, রবিবার, ৩ অগাস্ট ২০২৫, ৮:১৮ অপরাহ্ন

এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজের অনিয়ম খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি গঠন

শেয়ারবাজারে ওষুধ খাতের কোম্পানি এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ লিমিটেডের বিগত ৬ বছরের আর্থিক প্রতিবেদন খতিয়ে দেখবে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। একই সাথে বিএসইসি কোম্পানিটির প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে (আইপিও) উত্তোলিত অর্থের ব্যবহারও খতিয়ে দেখবে। এ কারণে বিএসইসি ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।

গঠিত তদন্ত কমিটিকে আগামী ৬০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন কমিশনে দাখিল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে।

গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন- বিএসইসির অতিরিক্ত পরিচালক মো. আল মাসুম মৃধা, বিএসইসির সহকারী পরিচালক মোসাব্বির আল আশিক এবং ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্যবস্থাপক স্নেহাশিষ চক্রবর্তী।

জানা গেছে, মিথ্যা জমির মালিকানা দাবি, ভুল আর্থিক এবং জালিয়াতি শেয়ার মানি ডিপোজিটের অভিযোগ উঠায় ২০২২ সালের জানুয়ারিতে আইপিও সাবস্ক্রিপশন প্রক্রিয়াটি স্থগিত করা হয়েছিল। পরে তদন্তে জাল জমির মালিকানা নথি, ভুল আর্থিক বিবরণী এবং জালিয়াতি শেয়ার মানি ডিপোজিটের প্রমাণ পাওয় যায়। এরই ধরাবাহিকতায় বিএসইসি এশিয়াটিক ল্যাবরেটরির প্রত্যেক পরিচালক ও ইস্যু ম্যানেজারকে ৫০ লাখ টাকা করে জরিমানা করে। এছাড়া ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনির আহমেদ, প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা এবং কোম্পানি সচিবকে ২৫ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

আইপিওর মাধ্যমে উত্তোলিত অর্থে কোম্পানিটি ব্যবসা সম্প্রসারণ, উৎপাদন ভবন নির্মাণ, ব্যাংক ঋণ পরিশোধ ও ইস্যু ব্যবস্থাপনা খরচ খাতে ব্যয় করবে বলে জানিয়ে ছিল কোম্পানি কর্তৃপক্ষ। কোম্পানির ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালন করেছে শাহজালাল ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড।

উল্লেখ্য, এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ ট্যাবলেট, ক্যাপসুল, ওরাল লিকুইড, সাসপেনশনের জন্য পাউডার, চক্ষু চিকিৎসা, ইনজেকশন এবং অন্যান্য ফার্মাসিউটিক্যাল আইটেম সহ সারা বাংলাদেশে ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্য (মানুষের ব্যবহারের জন্য) উৎপাদন, বিক্রয় এবং বিতরণ করে থাকে।

নিউজটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন