বাংলাদেশ জুয়েলার্স এসোসিয়েশন (বাজুস) দেশের জুয়েলারি শিল্পের ঐতিহ্য ও ভোক্তা অধিকার সুরক্ষায় ডায়মন্ডের অলংকার ক্রয়-বিক্রয় এবং বিপণনের জন্য নতুন নির্দেশিকা প্রণয়ন করেছে।
সোমবার (২১ অক্টোবর) বাজুসের সাধারণ সম্পাদক বাদল চন্দ্র রায় এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানান। নতুন নির্দেশিকাগুলো নিম্নরূপ:

১. ডায়মন্ডের অলংকার বিক্রয়ের ক্ষেত্রে 4C (Color, Clarity, Carat, Cut) মানতে হবে।
২. ডায়মন্ড জুয়েলারিতে শুধুমাত্র প্রাকৃতিক ডায়মন্ড বিক্রি করা যাবে।
৩. প্রাকৃতিক ডায়মন্ডের নামে কিউবিক জিরকন (CZ), এডি (আমেরিকান/আর্টিফিশিয়াল ডায়মন্ড), সিনথেটিক ডায়মন্ড ইত্যাদি বিক্রি নিষিদ্ধ।
৪. ডায়মন্ড অলংকারের সর্বনিম্ন মান কালার-IJ এবং ক্ল্যারিটি-SI থাকতে হবে।
৫. বিক্রয়ের সময় আন্তর্জাতিক মানের ল্যাব সার্টিফিকেট বাধ্যতামূলক, নিজস্ব প্রতিষ্ঠানের সার্টিফিকেট গ্রহণযোগ্য নয়।
৬. ১৮ ক্যারেটের নিচে সোনা ব্যবহার করা যাবে না।
৭. আন্তর্জাতিক মানের সার্টিফিকেট ছাড়া বিক্রি করলে বাজুস সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
৮. অলংকার এক্সচেঞ্জে ১৫% ও ক্রয়ে ২৫% বাদ দিতে হবে (ভ্যাট ছাড়া)।
৯. স্বর্ণের ক্যারেট, ওজন ও সেন্টের গড়মিল হলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে; সরকারি সংস্থা ব্যবস্থা নিলে বাজুস দায়ভার নিবে না।
১০. প্রতিটি পণ্যের ট্যাগে বিক্রয় মূল্য থাকতে হবে।
১১. Combo Offer এবং ফ্রি পণ্য দেয়া যাবে না।
১২. সর্বোচ্চ ২৫% ডিসকাউন্ট দেওয়া যাবে; নিয়ম ভঙ্গ করলে ৫ লাখ টাকা জরিমানা হবে।
১৩. বাজুসের তত্ত্বাবধানে একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হবে, যা যেকোনো প্রতিষ্ঠানের অলংকারের মান যাচাই করবে।
১৪. ব্যবসা পরিচালনার ক্ষেত্রে বাজুসের নিয়ম-কানুন মেনে চলতে হবে।
এই নির্দেশনাগুলোর মাধ্যমে ব্যবসায়ীক পরিবেশ সুষ্ঠু রাখতে এবং ভোক্তাদের স্বার্থ সুরক্ষায় বাজুস সকল জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানের প্রতি নির্দেশনা জারি করেছে। উল্লেখ্য, বাজুস প্রায় ৪০ হাজার জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিত্ব করে।
