নিজস্ব প্রতিবেদক
এনসিসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান মো. আবুল বাশার এবং তিন পরিচালক ঋণখেলাপি হওয়া সত্ত্বেও তাঁদের পরিচালক পদে বহাল রয়েছেন।

এ কারণে ৫০০ কোটি টাকার বন্ড ছাড়ার জন্য ব্যাংকের আবেদন নাকচ করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যের ভিত্তিতে বিএসইসি এই সিদ্ধান্ত নেয়।
ঋণখেলাপির অভিযোগ
প্রাইম গ্রুপের ডিএমডি ও এনসিসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান আবুল বাশার এবং তাঁর পিতা আবদুল আউয়ালের ঋণখেলাপির অভিযোগ রয়েছে। তাঁদের প্রাইম গ্রুপের মোট ঋণের পরিমাণ ১ হাজার ৭২৫ কোটি টাকা। আট ব্যাংক ও দুই আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে নেওয়া এই ঋণ পরিশোধ না করায় বিভিন্ন ব্যাংক অভিযোগ করেছে। ব্যাংকগুলোর মধ্যে অগ্রণী ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক, জনতা ব্যাংক এবং প্রাইম ব্যাংক রয়েছে।

অন্যান্য ঋণখেলাপি পরিচালক
এনসিসি ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান সোহেলা হোসাইন এবং পরিচালক এ এস এম মঈনউদ্দীন মোনেমও ঋণখেলাপি হিসেবে চিহ্নিত হয়েছেন।
২০২৩ সালের ২ নভেম্বর এনসিসি ব্যাংক ৫০০ কোটি টাকার বন্ড ছাড়ার আবেদন করে। কিন্তু চার পরিচালকের ঋণখেলাপির কারণে ৯ অক্টোবর বিএসইসি এই আবেদন বাতিল করে। ব্যাংক কোম্পানি আইনের ১৭ ধারা অনুযায়ী ঋণখেলাপি কেউ ব্যাংকের পরিচালক হতে পারেন না। এ ধরনের পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশে পরিচালক পদ শূন্য হওয়ার কথা থাকলেও, এখনো কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
পরিচালনা পর্ষদের সংকট
গত ১ আগস্ট এনসিসি ব্যাংকের বার্ষিক সাধারণ সভায় এক-তৃতীয়াংশ পরিচালক পদত্যাগ করেন এবং পরে পুনর্নির্বাচিত হন। তবে পরিচালনা পর্ষদের অনাপত্তির জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন চেয়ে ২৫ সেপ্টেম্বর আবেদন করা হয়, যা এখনো মঞ্জুর হয়নি। এর ফলে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভা প্রায় আড়াই মাস ধরে স্থগিত রয়েছে, এবং বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া আটকে আছে।
এনসিসি ব্যাংকের কোম্পানি সচিব মনিরুল আলম জানান, ভাইস চেয়ারম্যানের ঋণ পুনঃতফসিলের মাধ্যমে নিয়মিত করা হয়েছে, এবং অন্যান্য ঋণও নিয়মিত করার চেষ্টা চলছে।