নাভানা ফার্মাসিটিক্যালসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. জুনায়েদ শফিক শেয়ারবাজার এবং ব্যাংক থেকে নাভানা ফার্মার নামে তুলে নিয়েছেন ৫০০ কোটি টাকার বেশি।
শেয়ারবাজারের তালিকাভুক্ত কোম্পানির উদ্যোক্তা ও ব্যাংকের পরিচালক হিসাবে তিনি দেশের আর্থিক খাতে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করেন। সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাভেদের ‘কাজিন’ পরিচয় তিনি দেশে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং দেশে-বিদেশে বিনিয়োগ করেছেন। যুক্তরাজ্যের লন্ডনে আবাসন খাতে তার বিপুল বিনিয়োগের তথ্য রয়েছে। তার এই অঢেল সম্পদ গড়ে তোলার পেছনে নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে।

অভিযোগ আছে, এসব অর্থ তিনি প্রতিষ্ঠানের কাজে না লাগিয়ে বিদেশে পাচার এবং ব্যক্তিস্বার্থে ব্যবহার করেছেন। নথিপত্রে দেখা যায়, নাভানা ফার্মাসিউটিক্যালসের পর্ষদে চেয়ারম্যান হিসাবে আছেন সাবেক ভূমিমন্ত্রীর ভাই আনিসুজ্জামান চৌধুরী রনি। তার স্ত্রী ইমরানা জামান চৌধুরী পরিচালক। নাভানা ফার্মাসিউটিক্যালসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. জুনায়েদ শফিক। স্ত্রী মাসুমা পারভীন পরিচালক হিসাবে রয়েছেন। প্রয়াত শিল্পপতি জহুরুল ইসলামের উত্তরসূরিদের হটিয়ে প্রতিষ্ঠানটিতে এখন একক আধিপত্য বিস্তার করে চলেছে ডা. শফিক, রনি ও আদনান সিন্ডিকেট। আর জহুরুল ইসলামের ছেলে মনজুরুল ইসলাম এখন একজন শেয়ারহোল্ডার মাত্র।
জানা গেছে, নাভানা ফার্মাসিউটিক্যালসের ২০২০ সালের জুন শেষে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি ঋণের পরিমাণ ছিল ৮৫ কোটি টাকা। ডা. জুনায়েদ শফিক পর্ষদে যোগ দেওয়ার পর থেকেই কোম্পানিটির ঋণ বাড়তে থাকে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) পেইন মেডিসিন ইউনিটের প্রতিষ্ঠাতা এবং জাপান বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালের অন্যতম কর্ণধার জুনায়েদ শফিক বর্তমানে মেঘনা ব্যাংকের পর্ষদে পরিচালকের দায়িত্বে রয়েছেন। এছাড়া তিনি ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের পরিচালক, ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিরও ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন।
