পুঁজিবাজারে বহুল আলোচিত কোম্পানি ফরচুন সুজ লিমিটেডের শেয়ার নিয়ে নানা ধরনের কারসাজি, অনিয়মের অভিযোগ থাকলেও কোম্পানি কতৃপক্ষ অনেকটাই ধরা ছোঁয়ার বাইরে রয়েছেন। বর্তমানে কোম্পানিটির চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান তুরষ্কে অবস্থান করছে বলে জানিয়েছেন তাঁর ভাই রবিউল ইসলাম।
জানা গেছে, ফরচুন সুজ ২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য ১০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করে নিদৃষ্ট সময় বিতরণ না করায় ডিএসইতে অভিযোগ দিয়েছিলেন বিনিয়োগকারীরা। কোম্পানি কতৃপক্ষ ৯ জুন ওই লভ্যাংশ বিতরণ করেছে বলে ডিএসই জানায়। তবে কোম্পানিটি ২০২২-২৩ অর্থবছরের লভ্যাংশ এখনো বিতরণ করেনি।

পুঁজিবাজারে কোম্পানিটির তেমন পারদর্শিতা না থাকলেও শেয়ার কারসাজির মাধ্যমে আলোচনায় এসেছে। বিভিন্ন সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার দর কৃত্তিমভাবে বাড়ানো হয়েছে। আর একাজে নেতৃত্ব দিয়েছে পুঁজিবাজারে কারসাজিকারক হিসেবে পরিচিত সমবায় কর্মকর্তা আবুল খায়ের হিরু। অভিযোগ রয়েছে কারসাজিতে সহয়তা করেছে কোম্পানি কতৃপক্ষ। বিভিন্ন সময়ে হিরুকে কারসাজির অভিযোগে জরিমানা করা হলেও কিছুই হয়নি কোম্পানি কতৃপক্ষের।
এ বিষয়ে বিএসইসির মুখপাত্র ফারহানা ফারকী জানান, ফরচুন সুজের যাবতীয় অনিয়ম ও কারসাজির তদন্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।
২০১৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটি বর্তমানে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে অবস্থান করছে। সর্বশেষ ৩ অক্টোবর কোম্পানিটির শেয়ার ডিএসইতে ১৮ টাকা দরে লেনদেন হয়। ওইদিন শেয়ারটির দর ৪০ পয়সা বা ৪.৬৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছিল। গত ১ বছরে শেয়ারটির দর ১৬ টাকা ৩০ পয়সা থেকে ৭৫ টাকা ৭০ পয়সা পরযন্ত বৃদ্ধি পায়।

কোম্পানিটির আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা যায়, সর্বশেষ তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ,২৪) কোম্পানিটি শেয়ার প্রতি আয় করেছে ০৬ পয়সা। ২০২৩ সালে কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে।