ঢাকা, সোমবার, ৪ অগাস্ট ২০২৫, ৪:১৩ অপরাহ্ন

ব্যাবসা সচল রাখতে ঋণ সুবিধা চায় বেক্সিমকো

দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্প প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো গ্রুপ রপ্তানি কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে বিপাকে পড়েছে। কারণ প্রতিষ্ঠানটির কাছে বর্তমানে রপ্তানীমুখী ব্যবসা টিকিয়ে রাখার মত পুঁজি নেই। এক্ষেত্রে কোম্পানিটি রপ্তানি সংশ্লিষ্ট ঋণ সুবিধা চালু রাখার আবেদন জানিয়ে চিঠি দিয়েছে অন্তর্বতী সরকারের ৪ উপদেষ্টা এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে।

গত ১৯ সেপ্টেম্বর এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠিয়েছে বেক্সিমকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ওসমান কায়সার চৌধুরী।

জানা গেছে, অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুরের কাছে এই চিঠি দিয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, বেক্সিমকো রপ্তানি কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে বিপাকে পড়েছে, কারণ তাদের হাতে প্রয়োজনীয় পরিমাণ চলতি পুঁজি নেই। ফলে ব্যবসা হারানোর উপক্রম হয়েছে গোষ্ঠীটির। সে কারণে রপ্তানি সংশ্লিষ্ট ঋণসুবিধা ফের চালুর আবেদন করেছে প্রতিষ্ঠানটির টেক্সটাইল ও অ্যাপারেল বিভাগ। রপ্তানিমুখী উৎপাদন শুরু করতে না পারলে তারা ব্যবসা হারাবে। ফলে কর্মী ছাঁটাই করার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।

চিঠিতে বলা হয়, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বেক্সিমকো গ্রুপের রপ্তানিমুখী পোশাক কারখানা লুটপাট করা এবং আগুন দেওয়া হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে উৎপাদন কার্যক্রম চালিয়ে নেওয়ার মতো চলতি পুঁজি বেক্সিমকোর হাতে নেই। ফলে অনেক ক্রেতা বেক্সিমকো থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। বেক্সিমকো গ্রুপ সক্ষমতা অনুযায়ী উৎপাদন করতে পারছে না। ডিসেম্বর পর্যন্ত বিক্রয় ও নগদ প্রবাহের হিসাব করে বেক্সিমকো দেখেছে, ব্যয় নির্বাহ করার মতো নগদ অর্থ তাদের হাতে নেই।

চিঠিতে বেক্সিমকো জানায়, আগস্ট মাসে শ্রমিকদের মজুরি দিতে ৬৯ কোটি পাঁচ হাজার টাকা প্রয়োজন ছিল। জনতা ব্যাংক সে লক্ষ্যে ৫৫ কোটি টাকা ঋণ দেয়। বাকি অর্থ কাঁচামাল আমদানির জন্য আলাদা করে রাখা তহবিল থেকে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু বেক্সিমকো গোষ্ঠীর নিয়মিত ঋণসুবিধা বন্ধ থাকায় সেপ্টেম্বর মাসের মজুরি পরিশোধ নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। তারা জানিয়েছে, সেপ্টেম্বর মাসের মজুরি পরিশোধে ৬৫ কোটি টাকা প্রয়োজন।

জনতা ব্যাংকের মাধ্যমে বেক্সিমকো গোষ্ঠীর যে রপ্তানি আয় ইতিমধ্যে এসেছে এবং আগামী ৬ অক্টোবর পর্যন্ত যে রপ্তানি আয় আসার কথা, তা থেকে বেক্সিমকো গ্রুপকে সেপ্টেম্বর মাসের মজুরি বাবদ ৬৫ কোটি টাকা দেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে।

 

নিউজটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন