ঢাকা, রবিবার, ৩ অগাস্ট ২০২৫, ৩:০৫ অপরাহ্ন

পুঁজিবাজারে ৫ ব্যাংকের সাথে বাংলাদেশ ব্যাংকের চুক্তি

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত তারল্য সংকটে থাকা ৫টি ব্যাংকের সঙ্গে ঋণ গ্যারান্টি চুক্তি সই করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এই চুক্তির ফলে ব্যাংকগুলো আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজার থেকে নির্ধারিত মেয়াদে বিশেষভাবে ধার করতে পারবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, ব্যাংকিং খাত সংস্কারের অংশ হিসেবে তারল্য সংকটে থাকা এই ৫ ব্যাংক সবল ব্যাংক থেকে বিশেষ ধার করতে পারবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তিতে সই করা ব্যাংকগুলো হলো- ন্যাশনাল ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক ও গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক।

চলতি সপ্তাহের শুরুতে ৫টি ব্যাংক এই চুক্তি সই করেছে। তবে এখন পর্যন্ত বিশেষ ধার চেয়ে ৮ ব্যাংক চিঠি দিয়েছে বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা জানান, যেসব ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে, তারা এখন আন্তঃব্যাংক বাজার থেকে তহবিল সংগ্রহ করে পর্ষদের অনুমোদন নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকে গ্যারান্টির জন্য পাঠাবে। এরপর কেন্দ্রীয় ব্যাংক গ্যারান্টির আওতায় কোন ব্যাংক কত টাকা নিতে পারবে তা বিবেচনা করে অনুমতি দেবে।

প্রসঙ্গত, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতন হলে ব্যাংকগুলোর পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে পুনর্গঠন করা হয়। এগুলোসহ মোট ১১টি ব্যাংকের পর্ষদ পুনর্গঠন করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। নামে-বেনামে ব্যাংকগুলো থেকে বিপুল অঙ্কের ঋণ নিয়ে পাচারের অভিযোগ খতিয়ে দেখছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকসহ বিভিন্ন সংস্থা।

এমন অবস্থায় সাময়িক সংকট মেটাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গ্যারান্টির বিপরীতে ধারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আর দুর্বল ব্যাংকের কাছ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক ডিমান্ড প্রমিসরি (ডিপি) নোট নিয়ে রাখবে, যাতে ধার দেওয়া ব্যাংকগুলো কোন বেকায়দায় না পড়ে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, কোনো ব্যাংক সংকটে পড়লে সাধারণভাবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে বিশেষ ধার দেওয়া হয়। তবে বাংলাদেশ ব্যাংক ধার দেওয়া মানে সরাসরি টাকা ছাপানোর মতো। এতে মুদ্রা সরবরাহ বেড়ে মূল্যস্ফীতির ওপর চাপ পড়ে। এমনিতেই এখন উচ্চ মূল্যস্ফীতি। যে কারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সরাসরি টাকা না দিয়ে অন্য ব্যাংক থেকে ধারের ব্যবস্থা করছে।

এমন অবস্থায় বাজারের টাকা এক ব্যাংক থেকে আরেক ব্যাংকে যাবে। ফলে মূল্যস্ফীতির ওপর বাড়তি প্রভাব পড়বে না। আর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গ্যারান্টির মানে হলো, কোনো কারণে এসব ব্যাংক ব্যর্থ হলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ওই টাকা পরিশোধ করবে।

 

নিউজটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন