সম্প্রতি শেয়ারবাজারে আলোচিত কোম্পানি খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ ইন্ডাস্ট্রিজ মঙ্গলবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) লেনদেনের শীর্ষ ১০ কোম্পানির তালিকায় উঠে এসেছে। আজ কোম্পানিটি ৭১ কোটি ৬৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন করে তালিকার সপ্তম স্থানে রয়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, মঙ্গলবার ডিএসইতে খান ব্রাদার্সের ১ হাজার ৯৬৯ বারে ৭ লাখ ১৬ হাজার ৩২১টি শেয়ার হাতবদল করে।
এদিকে গত ১ মাসে শেয়ারটির অস্বভাবিক দর বাড়লেও আজ শেয়ার দর কিছুটা কমেছে। এদিন শেয়ারটির দর ৩ টাকা ৩০ পয়সা বা ১.৮৭ শতাংশ কমেছে।
খান ব্রাদার্সের শেয়ারের দাম অস্বাভাবিক বৃদ্ধি এবং অধিক পরিমাণ শেয়ার লেনদেনের কারণ খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জকে (ডিএসই) এ রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) নির্দেশ দিয়েছে বিএসইসি।

ডিএসইকে আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলেছে কমিশন।
বিএসইসির চিঠিতে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে খান ব্রাদার্সের শেয়ারের দাম ও লেনদেন উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। তদন্তকালে কোম্পানিটি সন্দেহজনক লেনদেন সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জ কমিশন (স্টক ডিলার, স্টক ব্রোকার ও অনুমোদিত প্রতিনিধি) বিধিমাল ২০০০ এর আচরণবিধি ৬ ও ৮ এবং বিধি ১১ লঙ্ঘন করলে তা অবিলম্বে সংশ্লিষ্ট এআর/কমপ্লায়েন্স অফিসার/সিইওকে অবগত করতে হবে।
উল্লেখ্য, বিগত শিবীলী কমিশনের সময়েও খান ব্রাদাসের শেয়ারটি ব্যাপক আলোচিত সমালোচিত হয়। গত বছরে এপ্রিল থেকে জুলায়ের মধ্যে শেয়ারটির দর ৯ টাকা ৯০ পয়সা থেকে বেড়ে ২৫ টাকা ৯০ পয়সায় ওঠে। পরবর্তীতে কারসাজির মাধ্যমে শেয়ারটি দর ২৩৯ টাকা ৯০ পয়সা গিয়ে ঠেকে, যা গত এক বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ দর।
ডিএসইকে গত বছরের ১৩ জুলাই এক চিঠির মাধ্যমে কোম্পানিটির শেয়ার কারসাজি নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দেয় বিএসইসি।
কোম্পানিটির কারখানা বন্ধ থাকার পরেও কিছু ব্রোকারেজ হাউজ শেয়ারটি নিয়ে কারসাজি করে। সে সময় কোনো মূল্য সংবেদনশীল তথ্য ছাড়াই কারসাজি চক্র শেয়ারটির দর বৃদ্ধি করে।