ঢাকা, সোমবার, ৪ অগাস্ট ২০২৫, ৭:১০ পূর্বাহ্ন

এসকে ট্রিমস বন্ধ ঘোষণা, সপ্তাহে শেয়ার দর বাড়ল ২৬%

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত আলোচিত কোম্পানি এসকে ট্রিমসের কারখানা সম্প্রতি বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। কোম্পানিটির ব্যাংক হিসাব বন্ধ থাকায় কারখানা সচল রাখার জন্য অর্থায়নের কোন ব্যবস্থা নেই। এর ফলে কোম্পানিটি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কতৃপক্ষ। কারখানাটি বন্ধ হওয়ার আগে কোম্পানির শেয়ার দর ২৬ শতাংশ বেড়েছে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, গত ১০ সেপ্টেম্বর ডিএসইতে এসকে ট্রিমসের শেয়ার দর ছিল ১৪ টাকা ৮০ পয়সা। আর ১৫ সেপ্টেম্বর শেয়ারটি সর্বশেষ ১৮ টাকা ৭০ পয়সা দরে লেনদেন হয়। অর্থাৎ গত ১ সপ্তাহে কোম্পানিটির শেয়ার দর ৩ টাকা ৯০ পয়সা বা ২৬ শতাংশ বেড়েছে।

জানা গেছে, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) আলোচিত সদস্য মতিউর রহমানের পারিবারিক মালিকানাধীন কোম্পানি এসকে ট্রিমসের কারখানা বন্ধের বিষয়টি গত শুক্রবার নোটিশ আকারে জারি করে শ্রমিকদের জানিয়ে দেয় কোম্পানিটি।

পাশাপাশি এসকে ট্রিমস শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠান হওয়ায় নিয়ম অনুযায়ী গত রোববার বিনিয়োগকারীদের এ তথ্য জানিয়েছে তারা। একইসাথে শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের এই তথ্য জানানো হয়েছে।

কোম্পানিটি জানায়, বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট (বিএফআইইউ) ও মহানগর দায়রা জজ আদালতের নির্দেশে গত ২৫ জুন থেকে কোম্পানিটির সব ব্যাংক হিসাব বন্ধ রয়েছে। এ কারণে রপ্তানিমুখী কারখানাটি বিদেশ থেকে কোনো কাঁচামালও আমদানি করতে পারছে না। ফলে কারখানায় বেশ কিছুদিন ধরে কোনো ধরনের কাজ নেই। কারখানা সচল রাখার মতো অর্থায়নেরও কোনো ব্যবস্থা নেই। এ অবস্থায় কারখানা বন্ধ ঘোষণার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

গত জুনে ছেলের ছাগল-কাণ্ডে দেশজুড়ে আলোচনায় আসেন মতিউর রহমান। এরপর ২৫ জুন বিএফআইইউ মতিউর রহমান পরিবারের মালিকানাধীন এসকে ট্রিমসের ব্যাংক হিসাব বন্ধ করে দেয়। রপ্তানির সুবিধার্থে পরে এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হলেও দুর্নীতি দমন কমিশন বা দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত ১১ জুলাই থেকে আবার সব ব্যাংক হিসাব বন্ধের নির্দেশ দেয়। এর পর থেকে অর্থসংকটে পড়ে কোম্পানিটি। শেষমেশ কাঁচামাল সংকটে কারখানা বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

কোম্পানিটি জানিয়েছে, লে–অফকালে কারখানার যেসব শ্রমিক, কর্মচারী ও কর্মকর্তার চাকরির মেয়াদ এক বছরের বেশি হয়েছে, তাঁরা শ্রম আইন অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ পাবেন।

এদিকে বিনিয়োগকারীদের মাঝে কোম্পানিটির কারখানা বন্ধের ঘোষণা ছড়িয়ে পড়ায় মঙ্গলবার ডিএসইতে শেয়ারটির দর কমেছে। আজ ডিএসইতে শেয়ারটির দর ৫০ পয়সা বা ২.৬৭ শতাংশ কমেছে। এদিন শেয়ারটি সর্বশেষ  ১৮ টাকা ২০ পয়সায় লেনদেন হয়েছে। এদিন কোম্পানিটি ৯২৬ বারে ১২ লাখ ৩৬ হাজার ৬১৭টি শেয়ার লেনদেন করেছে।

 

নিউজটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন