গাজীপুরের কাশিমপুরের ভবানীপুর এলাকায় বিগবস নামের একটি কারখানায় আগুন লাগানো হয়েছে। এদিন বেক্সিমকো গ্রুপের কারখানার শ্রমিকেরা বকেয়া বেতনের দাবিতে বিক্ষোভ করে। এ সময় তারা অন্যান্য কারখানাও বন্ধ করতে বিভিন্ন কারখানায় হামলা ও ভাঙচুর চালায়। এর মধ্যে বিগবস কারখানও ছিলো। যদিও দুটি কোম্পানির মধ্যে কোনো সম্পর্ক না থাকা সত্ত্বেও, অ্যাপটেক গ্রুপের অধীনে এই কারখানায় হিংসাত্মক আক্রমণ শুরু করে।
শ্রমিকদের দেওয়া আগুন সাড়ে ছয় ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে এসেছে। এখন ডাম্পিংয়ের কাজ চলছে। এখন অনেক ধোঁয়া উড়ছে। সারারাতও সময় লাগতে পারে ডাম্পিংয়ের কাজ শেষ হতে। বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এর আগে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শ্রমিকরা কারখানার ওয়্যার হাউজে আগুন দেন বলে জানায় কারখানা কর্তৃপক্ষ।

এ বিষয়ে অ্যাপটেকেরপরিচালক বলেন, “সরকারের উচিত অত্যন্ত জরুরিভাবে এই বিষয়টি কঠোরভাবে মোকাবিলা করা। এভাবে চলতে থাকলে বাংলাদেশ ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে কারণ এর ফলে অর্থনীতির সুস্পষ্ট পতন ঘটবে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী জানান, বকেয়া বেতনের দাবিতে বুধবার সকাল থেকেই বেক্সিমকো কারখানার শ্রমিকরা বিক্ষোভ ও অন্দোলন করছিল। বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা কালিয়াকৈরের চন্দ্রা-নবীনগর সড়ক অবরোধ করে আশপাশের কিছু কারখানায় ভাঙচুর চালায়। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে অন্দোলনকারী একদল শ্রমিক পাশের বিগবস করপোরেশন লিমিটেড কারখানায় আগুন ধরিয়ে দেন। একপর্যায়ে তারা লাঠিসোঁটা নিয়ে কারখানার আশপাশে অবস্থান নেন। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে যাওয়ার পথে অন্দোলনকারী শ্রমিকদের বাধার মুখে পড়ে। সে সময় তারা ফায়ার সার্ভিসের একটি গাড়িও ভাঙচুর করেন। সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে এলে তাদের সহায়তায় ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করেন।
অ্যাপটেক গ্রুপ সহিংসতার জন্য নিন্দা প্রকাশ করেছে। প্রতিষ্ঠানটি বলেছে- বেক্সিমকো কারখানাটির মজুরি বিরোধের সাথে অ্যাপটেক গ্রুপের কোন সম্পর্ক নেই। তারপরেও হামলার শিকার হলো। বিষয়টি নিন্দনীয়।
