ইউরোপীয় ইউনিয়নে তেলবীজ উৎপাদন বাড়ার সম্ভাবনা

6

আবাদ বৃদ্ধির পাশাপাশি ভালো ফলন হওয়ায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) দেশগুলোয় তেলবীজ উৎপাদন বাড়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। মার্কিন কৃষি বিভাগের (ইউএসডিএ) ফরেন এগ্রিকালচারাল সার্ভিসের দেয়া তথ্যমতে, ২০২৩-২৪ বিপণন মৌসুমে উৎপাদন আগের মৌসুমের তুলনায় ৬ শতাংশ বাড়তে পারে। খবর ওয়ার্ল্ড গ্রেইন ডটকম।

ইউএসডিএ জানায়, ২০২৩-২৪ মৌসুমে ইইউতে ৩ কোটি ৩৩ লাখ টন তেলবীজ উৎপাদন হতে পারে। ২০২২-২৩ মৌসুমে উৎপাদনের পরিমাণ ধরা হয়েছে ৩ কোটি ১৪ লাখ টন। অর্থাৎ এক মৌসুমের ব্যবধানে উৎপাদন ১৯ লাখ টন বাড়বে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বৈরী আবহাওয়ায় আগের মৌসুমে এ অঞ্চলে তেলবীজ উৎপাদন ব্যাহত হয়। তবে চলতি বছর অঞ্চলটির কৃষকরা সয়াবিন ও সূর্যমুখী তেলবীজ আবাদে কোনো ধরনের বাধার মুখে পড়েননি। এসব তেলবীজের ফলনও আশাজাগানিয়া।

সয়াবিন উৎপাদন গত বছরের তুলনায় ১৬ শতাংশ বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ পূর্বাভাস সত্য হলে এটিই হতে যাচ্ছে ছয় বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। ফরেন এগ্রিকালচারাল সার্ভিস জানায়, নতুন ক্যাম্পেইনের শুরুতেই মাড়াই মার্জিন আকর্ষণীয় পর্যায়ে। স্থানীয় বাজারে ভোজ্যতেল উৎপাদন চাহিদা বলিষ্ঠ থাকায় মাড়াইয়ের পরিমাণ লক্ষণীয় মাত্রায় বাড়বে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।

২০২২-২৩ মৌসুমে অঞ্চলটিতে সয়াবিন আবাদের পরিমাণ স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু উৎপাদন এক বছরের ব্যবধানে ৮ শতাংশ কমে যায়। পরিমাণ দাঁড়ায় ২৬ লাখ টনে। মূলত ভয়াবহ খরা ও দাবদাহের কারণে বেশির ভাগ দেশে উৎপাদন ব্যাহত হয়।

এদিকে ২০২৩-২৪ মৌসুমে অঞ্চলটিতে সরিষা উৎপাদন আগের মৌসুমের তুলনায় ২ শতাংশ বাড়বে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। উৎপাদনের পরিমাণ দাঁড়াতে পারে ১ কোটি ৯৮ লাখ টনে। সূর্যমুখী তেলবীজ উৎপাদন আগের মৌসুমের তুলনায় ১২ শতাংশ বেড়ে ১ কোটি ৫ লাখ টনে উন্নীত হতে পারে।