বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ক্যাপাসিটি চার্জ পরিশোধ ১ লাখ ৫ হাজার কোটি টাকা

2

গত দেড় দশকে দেশের বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোকে ক্যাপাসিটি চার্জ বাবদ ১ লাখ ৪ হাজার ৯২৬ কোটি ৮১ লাখ টাকা পরিশোধ করেছে সরকার। গতকাল জাতীয় সংসদে এক প্রশ্নের জবাবে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এ তথ্য জানিয়েছেন।

নসরুল হামিদ জানান, ৮২টি বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের (আইপিপি) মধ্যে ৭০টিকে ক্যাপাসিটি চার্জ দিতে হয়েছে। ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত (৩০ জুন ২০২৩) পরিশোধ করা হয়েছে ৭৬ হাজার ২৪২ কোটি ৮ লাখ টাকা। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ক্যাপাসিটি চার্জ পেয়েছে বাংলাদেশ-চায়না পাওয়ার কোম্পানি। বিদ্যুৎ কেন্দ্রটিকে গত সাড়ে ১৪ বছরে দেয়া হয়েছে ৭ হাজার ৪৫৫ কোটি ৩১ লাখ টাকা।

প্রতিমন্ত্রীর দেয়া তথ্যানুযায়ী, সর্বোচ্চ চার্জ পাওয়া অন্যান্য আইপিপি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মধ্যে মেঘনা পাওয়ার লিমিটেডকে ৫ হাজার ৪৭৫ কোটি ১২ লাখ, রুরাল পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডকে ৪ হাজার ৪ কোটি ৮ লাখ, সামিট মেঘনাঘাট পাওয়ার লিমিটেডকে ৩ হাজার ৬৪৪ কোটি ৩৯ লাখ, সেমক্রপ এনডব্লিউপিসি লিমিটেডকে ২ হাজার ৮২৩ কোটি ৬৬ লাখ, এপিআর এনার্জিকে ২ হাজার ৭৮৮ কোটি ৪ লাখ, সামিট বিবিয়ানা পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডকে ২ হাজার ৬৮৩ কোটি ৩ লাখ, হরিপুর পাওয়ার লিমিটেডকে ২ হাজার ৫৫৭ কোটি ৬৩ লাখ, ইউনাইটেড আশুগঞ্জ এনার্জি লিমিটেডকে ২ হাজার ৩৭৬ কোটি ৬৪ লাখ ও বাংলা ট্র্যাক পাওয়ার ইউনিট-১ লিমিটেডকে ২ হাজর ৮৫৩ কোটি ২২ লাখ টাকা দেয়া হয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী আরো জানান, আওয়ামী লীগ সরকারের গত তিন মেয়াদে ৩২টি ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রকে (রেন্টাল পাওয়ার প্লান্ট) ভাড়া বাবদ দেয়া হয়েছে ২৮ হাজার ৬৮৪ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। এর মধ্যে অ্যাগ্রেকো ইন্টরন্যাশনাল প্রজেক্টস তার পাঁচটি ইউনিটের মাধ্যমে ৬ হাজার ৪১১ কোটি ২২ লাখ টাকা পেয়েছে। এছাড়া অ্যাগ্রেকো ইন্টারন্যাশনাল প্রজেক্টস (১৪৫ মেগাওয়াট) ২ হাজার ৩৪১ কোটি ২৮ লাখ, কেপিসিএল (ইউনিট-২) ১ হাজার ৯২৮ কোটি ৫৪ লাখ, সামিট নারায়ণঞ্জ পাওয়ার ১ হাজার ৫৬৮ কোটি ৬১ লাখ, অ্যাগ্রেকো ইন্টরন্যাশনাল প্রজেক্টস ১ হাজার ৫৫৮ কোটি ২৩ লাখ, ডাচ-বাংলা পাওয়ার অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটস ১ হাজার ৫৩০ কোটি ৯ লাখ, অ্যাক্রন ইনফ্রাস্ট্রাকচার সার্ভিসেস লিমিটেড ১ হাজার ৪৮৪ কোটি ৩০ লাখ, অ্যাগ্রেকো ইন্টরন্যাশনাল প্রজেক্টস ১ হাজার ৪৩৯ কোটি ১৯ লাখ, দেশ এনার্জি সিদ্ধিরগঞ্জ ১ হাজার ৩৯১ কোটি ২১ লাখ, ম্যাক্স পাওয়ার ১ হাজার ৩০৬ কোটি ৩৪ লাখ ও পাওয়ার প্যাক মুতিয়ারা কেরানীগঞ্জ ভাড়া বাবদ পেয়েছে ১ হাজার ২৯১ কোটি ৬১ লাখ টাকা।

সরকারি দলের সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমানের প্রশ্নের জবাবে নসরুল হামিদ জানান, ২০২২-২৩ অর্থবছরে পল্লী বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের নিট লোকসান ২ হাজার ৫৬৩ কোটি টাকা। এ সময়ে ডেসকোর নিট লোকসান ২২৬ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। একই অর্থবছরের নয় মাসে ডিপিডিসির কর-পরবর্তী লোকসান হয়েছে ৪৬ কোটি ৫৪ লাখ টাকা।