চীনের রুশ জ্বালানি তেল আমদানি ৮.৬% বেড়েছে

8

রাশিয়া থেকে চীনের অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি গত মাসে ২০২২ সালের একই সময়ের তুলনায় ৮ দশমিক ৬ শতাংশ বেড়েছে। বেসরকারি বৃহৎ পরিশোধন কোম্পানিগুলো কম দামে জ্বালানি রাশিয়া থেকে কিনতে শুরু করায় আমদানিতে উল্লম্ফন দেখা দিয়েছে।

শুল্ক বিভাগের তথ্য বলছে, এপ্রিলে সমুদ্রপথে ও পাইপলাইনের মাধ্যমে রাশিয়া থেকে ৭১ লাখ টন অপরিশোধিত জ্বালানি তেল কিনেছে চীন। সে হিসাবে প্রতিদিন কেনা হয়েছে ১৭ লাখ ৩০ হাজার ব্যারেল।

গত মার্চে রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানিতে রেকর্ড গড়েছিল চীন। আমদানির পরিমাণ ছিল দৈনিক ২২ লাখ ৬০ হাজার ব্যারেল। সে হিসাবে এপ্রিলে আমদানি ছিল কিছুটা কম। অর্থাৎ গত বছরের এপ্রিলের তুলনায় বাড়লেও এ বছরের মার্চের তুলনায় সব মিলিয়ে আমদানি ১৬ শতাংশ কমেছে।

চীনে সরকারি পরিশোধন কেন্দ্র ও মেগা প্রাইভেট প্লান্টগুলো সৌদি আরব থেকেই সবচেয়ে বেশি জ্বালানি তেল কেনে। শুল্ক বিভাগের তথ্যমতে, গত মাসে দেশটি থেকে সব মিলিয়ে কেনা হয়েছে ৮৪ লাখ ৬০ হাজার টন বা দৈনিক ২০ লাখ ৬০ হাজার ব্যারেল। মার্চে আমদানির পরিমাণ ছিল দৈনিক ২১ লাখ ব্যারেল। গত বছরের একই সময় যা ছিল দৈনিক ২১ লাখ ৭০ হাজার ব্যারেল। অর্থাৎ এক মাস ও এক বছরের ব্যবধানে আমদানি কমেছে।

বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত রাশিয়া থেকে আমদানি ২৬ দশমিক ৫ শতাংশ বেড়েছে। আমদানির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩ কোটি ২৪ লাখ টনে। অন্যদিকে সৌদি আরব থেকে আমদানি ২ দশমিক ৯ শতাংশ বেড়েছে। আমদানির ‍পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩ কোটি ১২ লাখ ৮০ হাজার টন। অর্থাৎ এবার চীনে জ্বালানি তেল সরবরাহের ক্ষেত্রে সৌদি আরবকে ছাড়িয়ে শীর্ষে উঠে এসেছে রাশিয়া।

অন্যদিকে মালয়েশিয়া থেকেও আমদানি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ঊর্ধ্বমুখী ছিল। এপ্রিলে আমদানির পরিমাণ ছিল ৪০ লাখ ৯০ হাজার টন। তবে মার্চের তুলনায় বাড়েনি। ওই মাসে দেশটি থেকে ৪৫ লাখ ৬০ হাজার টন অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি করেছিল চীন।

মার্কিন নিষেধাজ্ঞা এড়াতে চীনের ব্যবসায়ীরা তিন বছর ধরে ইরানিয়ান ও ভেনিজুয়েলান তেল মালয়েশিয়া, ওমান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্য দিয়ে রিব্রান্ডিং করে বিক্রি করছে। তবে চীন ইরান ও ভেনিজুয়েলা থেকে কোনো ধরনের জ্বালানি তেল আমদানি করেনি বলে জানিয়েছে।