বেশিরভাগ খাদ্যপণ্যের উচ্চমূল্যের কারণে জনজীবনে ইতোমধ্যে বিপর্যয় নেমে এসেছে। রমজানে ডাল ও ছোলার চাহিদা থাকে তুঙ্গে। এই দুই খাদ্যপণ্যের দাম নিয়েও চিন্তার কমতি ছিল না। তবে আজ সেই চিন্তা উড়ে গেছে। কেননা, সরবরাহ ভালো থাকায় ডাল ও ছোলার দাম কমছে।
শনিবার (১১ মার্চ) সরেজমিনে রাজধানীর কারওয়ান বাজার, মালিবাগ কাঁচাবাজার ও গুলশান সিটি কর্পোরেশন মার্কেটসহ আরও কয়েকটি বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।
দোকানিরা জানান, রমজানকে সামনে রেখে বাজারে চাহিদার তুলনায় কয়েকটি পণ্যের আমদানি বা সরবরাহ বেড়েছে। ডাল, ছোলা, ময়দা, তেলসহ সব পণ্যেরই পর্যাপ্ত জোগান রয়েছে। এ কারণে পণ্যগুলোর দাম নিম্নমুখী।
বাজার পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, শনিবার কেজিতে দুই টাকা কমে মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ১৩৩ টাকায়। আর পাঁচ থেকে সাত টাকা কমে ছোলা ৮২ থেকে ৮৪ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে দাম কমলেও বিক্রি বাড়েনি।
এদিকে গত একমাস ধরে ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে মুরগির বাজার। ব্রয়লার মুরগি কেজিতে ১০০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ২৬০ টাকায়। আর সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ টাকায়।
বিক্রেতারা বলছেন, দাম বাড়লেও রোজার আগে বাধ্য হয়ে মুরগি কিনছেন ক্রেতারা। এছাড়া দামের কারণে বিক্রি কমেছে বলেও জানান তারা।
আর দাম নিয়ন্ত্রণের দাবিতে সোচ্চার নিত্যপণ্যের কাছে ধরাশায়ী ক্রেতারা।
এদিকে দুই সপ্তাহ ধরেই কমছে ডিমের দাম। গত সপ্তাহে এক দফা কমার পর এ সপ্তাহেও ডজনে পাঁচ থেকে ১০ টাকা কমে লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১২৫ টাকা ডজন হিসেবে; আর সাদা ডিম ১২০ টাকা।