আদালতের অনুমতি ছাড়া ধর্ষণের শিকার হওয়া নারীর চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন বা জেরা করা যাবে না। এই বিধান রেখে এভিডেন্স অ্যাক্ট-২০২২ এর সংশোধনীর প্রস্তাব অনুমোদন করেছে মন্ত্রিপরিষদ সভা।
সোমবার (২৫ জুলাই) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। সভায় গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী।

সভা শেষে ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এতথ্য জানান মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব ড. খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ধর্ষণের শিকার নারীকে চরিত্রহীন হিসেবে প্রমাণ করার একটা প্রবণতা থাকে বিরোধী পক্ষের। সেটা রোধ করতে আইনে কারো চারত্রিক বিষয়ে প্রশ্ন তুলতে গেলে আদালতের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে। কারো চারিত্রিক বিষয়ে প্রশ্ন করা যাবে কি না, তা বিবেচনা করবেন আদালত।
এছাড়া আইনটির সংশোধনীতে যেকোনো মামলার বিচারে আদালত ডিজিটাল কনটেন্ট, তথ্য-উপাত্ত ও নথিপত্র এভিডেন্স (প্রমাণ) হিসেবে গ্রহণ করতে পারবে-এমন সুযোগ রাখা হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

আইনটির সংশোধনী আনা প্রয়োজনবোধ করা হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ডিজিটাল কোর্ট, ডিজিটাল সাক্ষ্য গ্রহণযোগ্য হবে। কারণ, এভিডেন্ট অ্যাক্টে এটা ছিল না।