প্রতারনা ও জালিয়াতির দায়ে চাকুরী হারিয়েছেন মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের কর্মকর্তা

1,271

নানা প্রতারনা ও জালিয়াতির দায়ে চাকুরী হারিয়েছেন মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের কর্মকর্তা এ্যাসিস্টেন্ট অফিসার, সুজানুর রহমান সুজন,বাবু বাজার শাখা, ঢাকায় কর্মরত ছিল।

সুজানুর রহমান সুজন দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্সের নকল সার্টিফিকেট দিয়ে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেড চাকুরী নিয়েছিল। উক্ত সার্টিফিকেট দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইস্যু করে নাই।

এছাড়া সুজানুর রহমান প্রিন্সিপাল শাখায় ক্যাশ-এ কর্মরত থাকা অবস্থায় দুইজন গ্রাহকের ১০ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করে। সংশ্লিষ্ট গ্রাহক এই বিষয়টি বাংলাদেশ ব্যাংককে অবহিত করে। পরবর্তীতে উক্ত ঘটনা যখন মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের প্রাক্তন ব্যবস্থাপনা পরিচালকের জানতে পারে তখন সুজানুর রহমান, ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পায়ে ধরে বসে পড়ে এবং উক্ত ঘটনা এটা জাগো নিউজসহ ফেসবুকে ভাইরাল হয় ২৮ আগস্ট ২০১৭ সালে । অর্থ আত্মসাৎ এর কারনে প্রায় দুই বছর সাসপেন্ড অবস্থায় ছিল।

এছাড়া সুজানুর রহমান যশোর শাখায় কর্মরত থাকা অবস্থায় একজন ব্যক্তির (জনাব কাশেম, পিতা মৃত- শাহাদৎ হোসেন, গ্রামঃ লস্কারপুর, থানাঃ চৌগাছা,জেলাঃ যশোর,এর কাছ থেকে ৬৬,৩৫,৮৫০/- টাকা গ্রহন করে।

অবশেষে গত ৯/৭/১৫ ইং তারিখে মিউচুয়াল ট্রস্ট ব্যাংক লিমিটেড যশোর শাখা বরাবর কাশেম কে একটি চেক প্রদান করে। যাহার চেক নং গঞই/ঝই ৮৭২৪৫১১, টাকার পরিমান ৬৬,৩৫,৪৫০/- তারিখ ৯/৭/১৫ ইং, হিসাব নং – অ/ঈ-০৪৯০৩১০০০৩৬৭৪ চেকটি পাওয়ার পর ক্যাশ করার জন্য কাশেম ৯/৭/১৫ ইং তারিখে সংশ্লিষ্ঠ ব্যাংককে জমা দিলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ উক্ত হিসাবে পর্যপ্ত টাকা নাই এবং হিসাবের চেক প্রদানকারীর স্বাক্ষর এর মিল নাই এই মর্মে ডিজঅনার শ্লিপসহ চেকটি ফেরত প্রদান করেন) নামে ঋণ অনুমোদন করিয়ে নিজে টাকা গ্রহন করেছে, যার কারনে সুজানুর এর নামে মামলা করা হয়, এবং উক্ত মামলায় ওয়ারেন্ট জারি হয়েছিল।

এছাড়া সুজানুর রহমান ডেঙ্গুর ভূয়া সার্টিফিকেট দিয়ে দীর্ঘদিন ছুটি কাটায়। এই সার্টিফিকেট পপুলার ডাইগোনেস্টিক সেন্টারের নাম দিয়ে তৈরী করে।
সুজানুর রহমান ছোট বেলা থেকে বিভিন্ন প্রতারনার সাথে জড়িত ছিল। তার গ্রামের বাড়ি যশোর জেলার চৌগাছা থানার পাতিবিলা গ্রামে। তাঁর পিতার নাম মতিয়ার রহমান।

এছাড়া তিনি অত্র ব্যাংকে যোগদানের পর বিভিন্ন মানুষকে ব্যাংক এ চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা নিয়েছে যাহা পরবর্তীতে ফেরত দেয় নাই।