ঢাকা, সোমবার, ৪ অগাস্ট ২০২৫, ১২:২৪ পূর্বাহ্ন

​​​​​​​রমজান হোক পুণ্যময়

বছর ঘুরে আবারো এলো মাহে রমজান। শুরু হলো মুমিনের সিয়াম সাধন। এ মাসটি তাদের বোনাসের মাস। কৃষক ফসল কাটার মৌসুমে প্রচণ্ড পরিশ্রম করে যেমন আনন্দ পায়; তেমনি আনন্দ অনুভব করেন একজন প্রকৃত মুমিন রমজানে কৃচ্ছ্রতা সাধন করে।

দিনের উপবাস রাতের তারাবির নামাজ কষ্টকর হলেও এগুলো তাদের কাছে সুখকর মনে হয়। কারণ এ মাসের ইবাদত অন্য মাসের ইবাদত অপেক্ষা ৭০ গুণ বেশি সওয়াব এনে দেয়। ওমরাহ হয় হজতুল্য। নফল হয় ফরজের সমান।

তাই মাসটিকে ইবাদতের বসন্তকালও বলা চলে। খাঁটি বান্দারা বিলীন হন স্রষ্টার প্রেমে। তাদের ধ্যান-সাধনায় যাতে সমস্যা সৃষ্টি করতে না পারে সে জন্য শৃঙ্খলিত করা হয় শয়তানদের। খোলা হয় জান্নাতের দরজা। বন্ধ হয় জাহান্নামের ফটক। আকাশের ফেরেশতারা স্বাগত জানান প্রভুর প্রিয় বান্দাদের।

নেককারদের বলা হয়- ‘সামনে বাড়ো’। বদকারদের বলা হয়- ‘এবার থামো’। রহমত, মাগফিরাত আর নাজাতের সারণিতে বিভাজিত হয় পুরো মাস। মহামান্বিত ‘লাইলাতুল কদর’ এনে দেয় ৮৩ বছর চার মাস অপেক্ষা বেশি দিন ইবাদতের সওয়াব! এ মাসে যে পাপী তার গুনাহ মাফ করাতে পারে না সে বড় হতভাগা! রমজানের প্রতি প্রহরের আছে বিশেষ বিশেষ মর্যাদা। আহার-পানীয়তে আছে প্রচুর সওয়াব। বান্দার ইফতারে যেমন দয়াময় আনন্দিত হন; তেমনি এক টুকরো খেজুর কিংবা পানি অপর রোজাদারের মুখে ধরতে পারলেও দেন পূর্ণ রোজার সওয়াব! দানেও মিলে অন্য মাস অপেক্ষা ৭০ গুণ বেশি পুণ্য! আলহামদুলিল্লাহ!

নিউজটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

ট্যাগঃ