এ বছর বিশ্ববাজারে তামার উৎপাদন বাড়তে পারে এমন পূর্বাভাস পাওয়া গেছে। তারপরও ঘাটতিতেই থাকবে এ ধাতুটির বাজার। খবর নরনিকেল।
নরনিকেল জানায়, চলতি বছর আন্তর্জাতিক বাজারে তামার ঘাটতি মাঝামাঝি পর্যায়ে থাকবে। ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়াবে ৮২ হাজার টনে। বিশ্লেষকরা জানান, করোনা মহামারীর ধাক্কা সামলে বিশ্ব অর্থনীতির চাকা বেগবান হচ্ছে। এ ধারাবাহিকতায় বাড়ছে তামার ব্যবহার। ঊর্ধ্বমুখী ব্যবহারের কারণে উৎপাদন বৃদ্ধি সত্ত্বেও বাজারে ঘাটতি থাকবে। অন্যদিকে নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও বৈদ্যুতিক গাড়ি উৎপাদনে বিনিয়োগ বৃদ্ধিকেও ঘাটতির জন্য দায়ী করা হচ্ছে।

২০২১ সালে তামার বৈশ্বিক বাজারে তুলনামূলক ভারসাম্য ছিল। অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকায় ব্যবহারিক ধাতুটির চাহিদা পুনরুজ্জীবিত হতে শুরু করে। এ সময় যুুক্তরাষ্ট্র ও চীন কয়েক ট্রিলিয়ন ডলার ব্যয়ে বিভিন্ন পরিকাঠামো পরিকল্পনা ঘোষণা করে।
ইএসজি এজেন্ডার গুরুত্ব বৃদ্ধি তামার বৈশ্বিক চাহিদায় উল্লম্ফনে জ্বালানি জুগিয়েছে। এ সময় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকার ও বিনিয়োগকারীরা তামানির্ভর প্রযুক্তিতে মনোযোগ বৃদ্ধি করেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য নবায়নযোগ্য জ্বালানি, বৈদ্যুতিক গাড়ি উৎপাদন ও গ্রিনহাউজ গ্যাস নিঃসরণ কমিয়ে আনা। এ কারণে গত বছর ধাতুটির দাম ছিল ঊর্ধ্বমুখী।
