ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ইউনিক আইডি তৈরি কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার অভিভাবকদের তাদের সন্তানদের ইউনিক আইডির জন্য ডিজিটাল জন্মনিবন্ধন সনদ পেতে নাজেহাল অবস্থায় পড়তে হচ্ছে। ডিজিটাল জন্মসনদ ছাড়া ইউনিক আইডি তৈরি করা যায় না। তাই অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা ডিজিটাল জন্মসনদ পেতে ইউনিয়ন সেবা কেন্দ্রে দৌড়াচ্ছেন। অভিভাবকরা জন্মনিবন্ধন তৈরিতে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে নিয়মিত আসা-যাওয়া করছেন। প্রতি শিক্ষার্থীর কাছ থেকে জন্মসনদ তৈরিতে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদ ৫০০ টাকা থেকে শুরু করে ১ হাজার ৭০০ টাকা পর্যন্ত আদায় করছে।
জানা যায়, শিক্ষা অধিদপ্তরের নির্দেশনায় শিক্ষার্থীদের ইউনিক আইডি তৈরির কার্যক্রম শুরু করতে এর মধ্যেই মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজে তথ্য ফরমসহ নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে। চার পাতার তথ্য ফরমে শিক্ষার্থীদের ডিজিটাল নম্বরযুক্ত জন্মনিবন্ধন ফরম, বাবা-মার জাতীয় পরিচয়পত্র ও ইউনিয়নের ডিজিটাল নম্বরসহ জন্মনিবন্ধন সনদ প্রয়োজন।
শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গ্রামাঞ্চলের অধিকাংশ শিক্ষার্থীরই জন্মনিবন্ধন সনদ নেই। অনেক অভিভাবকের এনআইডি নেই। এ বিষয়ে বনমালীপুর জনতা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রনজিৎ কুমার দাস জানান, ইউনিক আইডির ফরম আগামী বছরের প্রথম থেকে পূরণ করা হবে বলে জানানো হয়েছে। ইতোমধ্যে শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করে রাখার জন্য বলেছেন। তিনি আরও জানান, স্বাভাবিকভাবেই বাবা-মার ভোটার আইডি কার্ডের সঙ্গে নামের মিল রেখেই শিক্ষার্থীদের জন্মনিবন্ধন অনলাইন করতে হবে।
এ বিষয়ে বোয়ালমারী উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আব্দুর রহিম জানান, শিক্ষা অধিদপ্তর শিক্ষার্থীদের সঠিক তথ্য গ্রহণ করে ইউনিক আইডির আওতায় আনতে কার্যক্রম চালু করেছে। ইউনিক আইডি শিক্ষার্থীদের এক ধরনের পরিচয়পত্র, যার সবকিছুই অনলাইনে আপলোড থাকবে, যা পরবর্তীতে তাদের ভোটার আইডি কার্ডের মতো ব্যবহার করা হবে। ইউনিক আইডির জন্য আলাদা কোনো ফি দিতে হবে না।
