বুক বিল্ডিং পদ্ধতির মাধ্যমে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে (আইপিও) পুঁজিবাজার থেকে অর্থ উত্তোলণ করতে চায় ইসলাম অক্সিজেন লিমিটেড। এ জন্য বিনিয়োগকারীদের আকর্ষণ করতে রোড শো করেছে কোম্পানিটি।
সোমবার (২৫ অক্টোবর) রাজধানীর রেডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেন হোটেলে রোড শো’র মাধ্যমে এই যাত্রা শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি।

দেশের বাজারে শেয়ার বৃদ্ধির জন্য এবং একটি সনামধন্য অক্সিজেন কোম্পানীতে পরিণত করতে ইসলাম অক্সিজেন লিমিটেড বুক বিল্ডিং পদ্ধতির মাধ্যমে বিএসইসির অনুমোদন সাপেক্ষে ৯৩ কোটি টাকা সংগ্রহের জন্য আইপিওতে আবেদন করছে।
আইপিওতে ব্যয়ের পর প্রতিষ্ঠানটি বাকি টাকা দিয়ে নতুন ফ্যাক্টরি বিল্ডিং স্থাপন, প্ল্যান্ট এবং মেশিনারিজ স্থাপনে ব্যয় করবে। অক্সিজেন ছাড়াও আরো বিভিন্ন ধরনের মেডিকেল গ্যাসের চাহিদা রয়েছে সেই চাহিদা থেকেই শেয়ারবাজারে যাত্রা শুরু করছে প্রতিষ্ঠানটি।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইসলাম অক্সিজেন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নুরুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চেয়ারম্যান মো. শহিদুল ইসলাম, পরিচালক মো. আজহারুল ইসলাম, চিফ অপারেটিং অফিসার বদর উদ্দিন আল-হোসাইন, কোম্পানি সেক্রেটারি মো. আখতারুজ্জামান, কোম্পানীর সতন্ত্র পরিচালকগণসহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ইসলাম অক্সিজেন লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. নুরুল ইসলাম বলেন, ২০২০-২০২১ অর্থ বছরে আমরা আমাদের উৎপাদন ক্ষমতা দুই কোটি পঞ্চাশ লক্ষ ঘন মিটারে উন্নীত করতে সক্ষম হয়েছি। আই.পি.ও’র মাধ্যমে বাজার থেকে উত্তলিত অর্থ দ্বারা আমরা একটি লিক্যুইড গ্যাস প্লান্ট ও একটি নতুন ফ্যাক্টরি বিল্ডিং স্থাপন করব। উক্ত প্লান্ট দুটি স্থাপিত হলে, আশা করি দেশের অক্সিজেনসহ ও অন্যান্য গ্যাসের চাহিদা অনেকাংশেই পূরণ করতে সক্ষম হব।
তিনি আরও বলেন, প্রোজেক্টেড আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৫ সালে কোম্পানিটির প্রজেক্ট রেভিনিউ হবে ২৭০.২৭ কোটি টাকা এবং উৎপাদন ক্ষমতা বেড়ে হবে বছরে ৪.৮৭ কোটি পিস। আমরা বাংলাদেশের মার্কেটের চাহিদা পূরণ করে অন্যান্য উন্নত দেশগুলোতেও তখন রপ্তানি করতে পারবো।
বিনিয়োগকারীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, ইসলাম অক্সিজেন লিমিটেডে বিনিয়োগ করার এখনই সেরা সময়। আমরা আমাদের শেয়ার হোল্ডারদের সঠিক রির্টান দিতে সক্ষম হব এবং পুঁজিবাজারে আমাদের পরবর্তী মাইলফলক শুরু করতে পারবো।