মানুষ নিরাপদ খাদ্য চায়, ভালো রাস্তা চায়। যারা অনলাইনে কেনাকাটা করেন তারা সঠিক সময়ে তাদের পণ্য চায়। কিন্তু অনেক প্রতিষ্ঠান টাকা নিয়ে পণ্য দেয়না। অনলাইনে মানুষকে ঠকালে সৃষ্টিকর্তার দরবারে তার বিচার হবে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম।
মঙ্গলবার (১৯ অক্টোবর) রাতে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনলাইন প্লাটফর্ম দারাজের সেলার সামিট ২০২১ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

আতিকুল ইসলাম বলেন, যেসব ইকমার্স প্রতিষ্ঠান মানুষের কাছ থেকে টাকা নিয়ে পণ্য দেয়না তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে।
তিনি বলেন, আমরা মানুষ ঠকিয়ে টাকা উপার্জন করবো, এটা কেমন ব্যবসা। এটা চিন্তা করা যায়না। একটা প্রতিষ্ঠানে বিশ্বাস করে একটা সেলার, একজন ক্রেতা ও তার পরিবার শেষ হয়ে গেলো? এটা কি ধরণের ব্যবসা। যারা এই ধরণের ব্যবসা করে তাদের কে কঠোর শাস্তির আওতায় আনতে হবে। এটা সরকারের কাছে আমাদের অনুরোধ। আমরাও যেনো অতি লাভ না করি। বাই ওয়ান গেট ওয়ান শুনেছি। বাই ওয়ান গেট টেন এটা শুনিনি। এটা হতে পারেনা। এটা আমাদের বুঝতে হবে। সব কিছু সরকারের দায়িত্ব না। নিজের চিন্তা নিজেকে করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, এই সময় অনলাইন প্লাটফর্ম খুব ভালো সাপোর্ট দিয়েছে। আমাদের আমাদের ডিজিটাল গরুর হাটে তিন লাখের উপর পশু বিক্রি হয়েছে। আমরা অনেকের সঙ্গে ব্যবসা করেছি কিন্তু যারা টাকা মেরে দিয়েছে তাদের সঙ্গে আমরা ব্যবসা করিনি।

সেলার সামিটে জানানো হয়, ১১ নভেম্বর বিশ্বের সর্ববৃহৎ এই অনলাইন শপিং ইভেন্টে থাকছে ১ কোটি ৯০ লাখেরও বেশি পণ্য; সাথে বিশাল ডিসকাউন্ট।
এতে বলা হয়, ইলেভেন ইলেভেন ক্যাম্পেইন উপলক্ষ্যে দারাজ অফার করছে পেমেন্ট পার্টনারদের মাধ্যমে ডিসকাউন্ট ও ক্যাশব্যাক অফার। বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে থাকছে ১১ টাকা ডিল,ডাবল টাকা ভাউচার, আরোও অনেক অফার। গত বছর ইলেভেন ইলেভেনে ১০০ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি করলেও, চলতি বছরের ইলেভেন ইলেভেনে ২০০ কোটি টাকার পণ্য বিক্রির আশা দারাজের।
দারাজ বাংলাদেশের ম্যানেজিং ডিরেক্টর সৈয়দ মোস্তাহিদুল হক বলেন, বর্তমানে দারাজের সাথে যুক্ত আছে ৪০ হাজার বিক্রেতা এবং সহস্রাধিক ব্র্যান্ড। পণ্য কেনাকাটায় গ্রাহকদের তাৎক্ষণিক এবং সহজ সুবিধাদানের সাথে সাথে প্রতি মাসে ২০ লাখেরও বেশি পণ্য বিশ্বের সকল প্রান্তে পৌঁছে দিচ্ছে দারাজ। দারাজ তার গ্রাহকদের জন্য একইসাথে একটি বাজার, মার্কেটপ্লেস এবং কমিউনিটি। দারাজ উদ্যোক্তাদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মতাে, কেননা প্রতিষ্ঠানটি প্রতিমাসে ই-কমার্স সম্পর্কে পাঁচ হাজারেরও বেশি নতুন বিক্রেতাকে সচেতন করে তােলে।