আফগানিস্তানের হেরাত প্রেদেশে একটি বাড়িতে হামলা চালানোর অভিযোগে কিছুদিন আগে তালেবানরা তিন জনকে প্রকাশ্যে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে ক্রেন থেকে দড়ি দিয়ে ঝুলিয়ে রেখেছিল তিনটি দেহ। আফগান সরকার এখন থেকে এধরনের কোনো নৃশংসতাকে আর প্রশ্রয় দেবে না বলে জানিয়েছে।
প্রায় ২০ বছর আগে যে সময় তালেবানরা আফগানিস্তানের দখলে ছিল তখনও এই ধরণের প্রকাশ্যে মৃত্যুদণ্ডের বিধান চালু ছিল। কিন্তু এবারে মসনদে বসে নিজেদের আগের থেকে অনেক বেশি নমনীয় বলে দাবি করেছিল তালেবানরা। যদিও বাস্তব চিত্র অন্য কথাই বলছিল।

এদিকে হেরাতের ঘটনার পর ফের বর্হিবিশ্বের কাছে কড়া সমালোচনার মুখে পড়ে তালেবানরা। আর তাতেই তৈরি হয় নতুন চাপ। সমালোচনার মুখে পরেই প্রকাশ্যে মৃত্যুদণ্ডের মতো ভয়াবহ বিধান থেকে পিছু হটতে শুরু করেছে তালেবানরা। হেরাটের ঘটনায় মূল অভিযোগের তীর ওঠে ডেপুটি গভর্নর মৌলানা আহমেদ মুহাজিরের দিকে।
অন্যদিকে তালেবান সরকারের তরফে বর্তমানে স্পষ্ট ভাবে জানানো হয়েছে শীর্ষ আদালতের নির্দেশ বিনা কোনোভাবেই স্থানীয় ভাবে প্রকাশ্যে মৃত্যুদণ্ডের বিধান কার্যকর করা যাবে না। আদালত নির্দেশ দিলে তবেই এই নির্দেশ কার্যকরী হবে।
এই প্রসঙ্গে তালেবানদের তরফ থেকে বলা হয়েছে, ‘প্রকাশ্য মৃত্যুদণ্ড এবং মৃতদেহ ঝোলানোর মতো ঘটানো এড়িয়ে চলতে হবে। সুপ্রিম কোর্টের তরফে কোনও নির্দেশ না মানলে এই ধরণের কোনও কাজই কার্যকর করা যাবে না।’

‘যদি এই নির্দেশ না মানার পরেও কোনও অপরাধীকে এই ধরণের শাস্তি দেওয়া হয়, তাহলে কেন এই কাজ করা হল তার ব্যাখ্যা দিতে হবে। শাস্তিপ্রাপ্ত ব্যক্তি ঠিক কী অপরাধ করেছিল তার ব্যাখা অবশ্যই দিতে হবে জনস্বার্থের কথা মাথায় রেখেই।’