ঢাকা, মঙ্গলবার, ৫ অগাস্ট ২০২৫, ৩:১৬ পূর্বাহ্ন

গুগলে চাকরি পেয়েছে ফেনীর সাফায়েত

গুগলে চাকরির জন্য ডাক পেয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী সাফায়েত উল্যাহ। গুগলের তাইওয়ান অফিসে ‘গুগল পিক্সেল টিমে’ সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে কাজ করবেন তিনি। সোমবার বিষয়টি সাফায়েত যুগান্তরকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ৩ সেপ্টেম্বর গুগল থেকে নিয়োগের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। ডিসেম্বরের শেষ দিকে গুগলে যোগ দেওয়ার কথা হয়েছে।

 

 

ছাগলনাইয়া উপজেলার নিজপানুয়া গ্রামের আমান উদ্দিন ভূঁইয়া ম্যানেজার বাড়ির মৃত সলিমুল্লাহর ছেলে সাফায়েত। পাঁচ ভাই-বোনের মধ্যে সবার বড় তিনি।
২০১২ সালে ছাগলনাইয়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও ২০১৪ সালে ফেনী সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। এরপর ভর্তি হন ঢাবিতে।
তিনি ঢাবির কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল (সিএসই) বিভাগের ২০১৪-১৫ সেশনের (২১তম ব্যাচ) শিক্ষার্থী।
পড়াশোনা শেষ করে বর্তমানে ইনোসিস সল্যুশনস নামে ঢাকার একটি সফটওয়্যার কোম্পানিতে কাজ করছেন তিনি।

সাফায়েত বলেন, স্বপ্নের একটি প্রতিষ্ঠান গুগল। সিএসই পড়া সবারই স্বপ্ন থাকে এমন কোনো সুযোগ পাওয়ার। সেখানে যেতে পারছি এটা অনেক বড় পাওয়া। আমার অনুভূতি আসলে বলে বোঝানো যাবে না। সব মিলিয়ে অনেক ভালো লাগছে।

পরিবারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে সাফায়েত বলেন, মায়ের প্রতি সবসময় কৃতজ্ঞ। তাকে এই সংবাদ দিতে পেরে সবচেয়ে বেশি খুশি হয়েছি। মা, বড় মামার সহযোগিতা না থাকলে পড়াশোনা করতে পারতাম কি-না সন্দেহ। তাদের প্রতি ও আমার শ্রদ্ধেয় শিক্ষকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা। আর বন্ধুদের কাছ থেকে মানসিক সহায়তা পেয়েছি সবসময়।

ফেনী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর বিমল কান্তি পাল বলেন, আমাদের কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী সাফায়েত। সে পৃথিবীর সেরা একটি কোম্পানিতে কাজ করার সুযোগ পেয়েছে। বিষয়টি আমাদের জন্য অত্যন্ত গর্বের বিষয়। আশা করি, সে সুনামের সাথে কাজ করে ফেনী কলেজ এবং ফেনীর নাম উজ্জ্বল করবে।

এর আগে চলতি বছরের আগস্টে গুগলে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার পদে চাকরির সুযোগ পেয়েছেন ঢাবির সিএসই বিভাগের একই বর্ষের শিক্ষার্থী সাদমান সাকিব। তার গ্রামের বাড়ি নরসিংদীতে।

সাফায়েতের গুগলে সুযোগ পাওয়ার বিষয়ে কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সাইফুদ্দিন মো. তারেক বলেন, আমাদের শিক্ষার্থীরা নিয়মিতই বড় বড় প্রতিষ্ঠানে কাজ করে দেশের ও আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম উজ্জ্বল করছে। আমরা প্রতিবছরই এমন সুসংবাদ পাই। সামনের দিনে আমাদের শিক্ষার্থীরা আরো ভালো করবে এই কামনা করি।

নিউজটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

ট্যাগঃ