শিক্ষার্থীদের টিকার আওতায় নিয়ে আসা নিশ্চিত হলে প্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি বলেন, এ ক্ষেত্রে সংক্রমণের হার পাঁচে না নামলেও এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির ওপর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত নির্ভর করছে বলেও জানান তিনি।
রোববার (১৫ আগস্ট) আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান মন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর হার এখন নিম্নগামী। কাজেই আমরা আশা করি, সবাই যদি যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে তাহলে মৃত্যুহার আরও নেমে যাবে। বিশেষজ্ঞদের মত, পাঁচ শতাংশ বা তার কম হলে তখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া যায়। সেটা মাথায় রেখে টিকার কার্যক্রম ব্যাপকভাবে চালানো হচ্ছে।’
ডা. দীপু মনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীও ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষার্থীদের বিশেষ করে ১৮ ঊর্ধ্ব নাগরিকদের টিকার আওতায় আনা হবে। সে হিসাবে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্টদের নিয়ে টিকার আওতায় আনা সম্ভব হলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে আর বাধা থাকবে না। শিক্ষক-কর্মচারীদের টিকা দেওয়ার কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক শিক্ষার্থীদের অধিকাংশেরও টিকাদান সম্পন্ন হয়েছে। বাকি শিক্ষার্থীদেরও যদি আমরা টিকার আওতায় নিয়ে আসতে পারি, সেক্ষেত্রে সংক্রমণের হার পাঁচে না নামলেও একটা সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে বিভিন্ন সময় সরকারের বিভিন্ন পরিকল্পনার উল্লেখ করে ডা. দীপু মনি বলেন, পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় সেই সিদ্ধান্ত থেকে পিছিয়ে আসতে হয়েছে। এখন করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যু হার—সবকিছু মিলিয়ে যে অবস্থা, সেসব বিবেচনায় কবে নাগাদ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া যাবে সেটা বলার কোনো সুযোগ নেই।
মন্ত্রী বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো খোলার বিষয়টি সঙ্গে দুটি বিষয় জড়িত—এক. সংক্রমণের হার কমে যাওয়া, দুই. সবাইকে টিকার আওতায় নিয়ে আসা। এ দুইটা যখন হবে তখন আমরা যেকোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারবো।
যেকোনো সময় সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার সার্বিক প্রস্তুতি রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এটি পুরোপুরি নির্ভর করে করোনা মহামারির অবস্থার ওপর। গত বছরের অভিজ্ঞতা বলে নভেম্বর-ডিসেম্বরে সংক্রমণ অনেক কমে গিয়েছিল। এ বছরও যদি সেটা হয় তাহলে সে সময়ে আমরা ভেবেছি, এসএসসি ও এইচএসসির পরীক্ষা নিতে পারবো ইনশাল্লাহ। সেই অনুযায়ী আমরা পরীক্ষার সময়সূচি ঠিক করেছি। আর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও খুলে দেওয়া সম্ভব হবে।
তবে সবকিছুই করোনা পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করছে বলেও জানান তিনি।