ভারতে মন্ত্রিসভায় রদবদল সামনে রেখে কেন্দ্রীয় সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. হর্ষ বর্ধণসহ অন্তত নয়জন মন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন। বুধবার (৭ জুলাই) দেশটির সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, ‘স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. হর্ষ বর্ধণ ছাড়াও পদত্যাগ করেছেন দেশটির কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশাঙ্ক এবং শ্রমমন্ত্রী সন্তোষন গাংওয়ার। এছাড়া এই তালিকায় আরও আছেন কেন্দ্রীয় রাসায়নিক ও সারবিষয়ক মন্ত্রী সদানন্দ গৌদা, নারী ও শিশু কল্যাণবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী, শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সঞ্জয় ধোর্তে, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়, উপভোক্তা বিষয়ক, খাদ্য ও গণবন্টন প্রতিমন্ত্রী রাওসাহেব পাতিল দানভ এবং জল শক্তিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী রতন লাল কাটারিয়া।

এতে আরও বলা হয়েছে, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ চলাকালে তা প্রতিরোধে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার কোন সদস্যের ভূমিকা কেমন ছিল, সে বিষয়ে সম্প্রতি একটি মূল্যায়ন প্রতিবেদন প্রস্তুত করেছেন দেশটির স্বারাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে সেই প্রতিবেদন জমাও দিয়েছেন তারা। সেই সূত্র ধরেই সম্প্রতি মন্ত্রিসভায় রদবদলের ঘোষণা দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
হিন্দুস্থান টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ নিয়ে উঠেছে অনেক প্রশ্ন। করোনা আবহে দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার বেহাল দশা দেখা গিয়েছিল। বহু বছর পর ফের ভারত বিদেশ থেকে ত্রাণ নিতে বাধ্য হয়েছিল। করোনা ঢেউয়ের প্রভাবে এক একদিন চার লক্ষের উপরে লোক আক্রান্ত হয়েছে একটা সময়ে। উত্তরপ্রদেশের নদীতে ভাসতে দেখা গিয়েছে মৃতদেহ। টিকার ঘাটতি নিয়ে দেশে হাহাকার দেখা গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সব মহলেই নিন্দার মুখে পড়তে হয়েছিল মোদী সরকারকে। এই পরিস্থিতিতে ডা. হর্ষ বর্ধণকে সরিয়ে একটি নতুন সূচনা করতে চাইছে মোদী সরকার।’
এতে আরও বলা হয়েছে, ‘তবে এরই মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে, যদি করোনা আবহে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়। নতুন যিনি মন্ত্রী হবেন, তিনি যদি হঠাৎ করে সামালদিতে না পারেন। কারণ অতিমারীর প্রথম থেকে ডা. হর্ষ বর্ধন বিষয়টি সামলে এসেছেন। তিনি নিজে চিকিৎসক হওয়ায় কিছুটা সুবিধাও হয়েছে তাঁর। এই আবহে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বদল হিতে বিপরীত না হয়, তা নিয়ে রয়েছে সংশয়।’

ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম সংবাদ প্রতিদিনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সব কিছু ঠিক থাকলে স্থানীয় সময় আজ সন্ধ্যা ছয়টার দিকে রাষ্ট্রপতি ভবনের অশোক হলে মোদি সরকারের নতুন মন্ত্রীরা শপথ নিতে পারেন। সেই সম্ভাবনাই জোরদার হয়ে গিয়েছে নয়জন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর পদত্যাগের