দেশের বিশিষ্ট মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ বি এম আবদুল্লাহর নাম ব্যবহার করে কোভিড-১৯ রোগীদের জন্য একটি ভুয়া প্রেসক্রিপশন ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। তার ছবি ব্যবহার করে ভুয়া প্রেসক্রিপশনে নয়টি ঔষধের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
ওই প্রেসক্রিপশনে বলা হয়েছে, মৃদু মাত্রার কোভিড ১৯ সংক্রমণের ক্ষেত্রে এসব ঔষধ ব্যবহার করা যেতে পারে।
ফেসবুকে অনেকে ভুয়া প্রেসক্রিপশনটি শেয়ার করেছেন। এর মধ্যে অনেকে সেটি বিশ্বাস করছেন আবার অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন, এটি সত্যিই অধ্যাপক এবিএম আবদুল্লাহর পরামর্শ কিনা। বিষয়টি নিয়ে বেশ বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছেন বরেণ্য এই চিকিৎসক।
প্রেসক্রিপশনটির বিষয়ে জানতে চাইলে ডা. অধ্যাপক এবিএম আবদুল্লাহ বিস্ময় প্রকাশ বলেন, ‘ফোন করে অনেকেই আমার কাছে জানতে চেয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এই প্রেসক্রিপশন আমি দিয়েছি কি না। আমি তাদের বলেছি, প্রশ্লই ওঠে না। এটা সম্পূর্ণ ভুয়া। এ ধরনের কোনো প্রেসক্রিপশন আমি দেইনি।
ডা. আবদুল্লাহ বলেন, করোনা ভাইরাসের চিকিৎসার জন্য এসব ট্রিটমেন্ট দেয়া হয় সেটা সত্য। তবে সেটা নির্ভর করে রোগীর অবস্থার উপর। রোগীর ক্ষেত্রে কারো মৃদু উপসর্গ থাকে, কারো মধ্যম উপসর্গ থাকে, আবার কারো জটিল উপসর্গ থাকে। রোগীর অবস্থা অনুযায়ী চিকিৎসা পদ্ধতি বদলাতে হয়। সবচেয়ে বড় কথা কোভিড-১৯-এর স্পেসিফিক (সুনির্দিষ্ট) কোন ড্রাগ (ওষুধ) নাই।
তিনি বলেন, রোগীদের যেসব ওষুধ দেয়া হয় সেগুলো লক্ষণ-উপসর্গ দেখে। বিভিন্ন ধরণের পরীক্ষা করে রোগীদের ঔষধ দেন চিকিৎসকরা।
ডা. এবিএম আবদুল্লাহ সবাইকে সতর্ক করে দিয়ে জানান, তার ছবি ও নাম ব্যবহার করে ফেসবুকে যে প্রেসক্রিপশন ছড়ানো হয়েছে সেটি দেখে কেউ যেন নিজে নিজে চিকিৎসা শুরু না করেন।
তিনি বলেন, যে কোন ওষুধ যত সিম্পলই হোক, ডাক্তারের মতামত নিয়ে খেতে হবে। ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোন ওষুধ খাওয়া যাবে না।
