আর্থিক প্রতিষ্ঠান পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইনান্সিয়াল সার্ভিস লিমিটেডকে বিলুপ্ত করে পুনরুজ্জীবিত করারআদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ জন্য একটি কমিটিও গঠন করে দিয়েছেন আদালত।
আর্থিক প্রতিষ্ঠানটির আমানতকারীদের আবেদনে সব পক্ষের শুনানির পর বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের একক ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার এ আদেশ দিয়েছেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আহসানুল করিম। বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী তানজীব-উল আলম। আর পিপলস লিজিংয়ের সাময়িক অবসায়কের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মেজবাহুর রহমান।
ধারাবাহিক লোকসানে থাকা শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠান পিপলস লিজিং ২০১৪ সালের পর থেকে আমানতকারীদের কোনো লভ্যাংশ দিতে পারেনি।
এরপর ২০১৯ সালের ১৪ জুলাই থেকে দেশের পুঁজিবাজারে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন বন্ধ হয়। একপর্যায়ে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা বোর্ড ভেঙে নতুন বোর্ড গঠন করে পর্যবেক্ষক নিয়োগ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। কিন্তু তাতেও প্রতিষ্ঠানটির সার্বিক অবস্থার উন্নতি না হলে গত বছরের জুলাই মাসে প্রতিষ্ঠানটি অবসায়নের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। তখন সাময়িক অবসায়ক হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক আসাদুজ্জামান খানকে নিয়োগ দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এমন দৈন্যদশায়র মধ্যেই আর্থিক প্রতিষ্ঠানটি গ্রাহকের আমানতের টাকা ফেরত দিতে অপারগতা প্রকাশ করে। পরবর্তীতে পিপলস লিজিংয়ের ভুক্তভোগী আমানতকারীরা টাকা ফেরত পেতে হাইকোর্টে আকুতি জানায়। একপর্যায়ে এই আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ৫ লাখের বেশি টাকা ঋণ নিয়ে খেলাপি হওয়া ২৮৬ জনকে তলব করেন হাইকোর্ট। এরপরই হাইকোর্টে হাজির হয়ে কয়েকজন ঋণ খেলাপি ঋণের টাকা পরিশোধ করেন। অন্যদিকে হাইকোর্টের তলবে হাজির না হওয়া ১২২ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়।