ঢাকা, বুধবার, ৬ অগাস্ট ২০২৫, ৩:৪৮ পূর্বাহ্ন

রোজার আগেই দুধের দাম বাড়ল

প্রতিবছর পবিত্র রমজান মাসকে ঘিরে সব ধরনের দুধের চাহিদা বাড়ে। করোনার প্রকোপে গত বছর এর ব্যতিক্রম ঘটলেও এ বছর দুধের চাহিদা বেড়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা। সেই সঙ্গে বাজারে পণ্যটির দামও বেড়ে গেছে। রমজানের অনেক আগেই রাজধানীর বাজারে তরল দুধের দাম লিটারে ৫ টাকা ও গুঁড়াদুধের কেজিতে ৩০ থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে গেছে। রেস্টুরেন্ট, খাবার দোকান, বিয়ের অনুষ্ঠান ও অন্য খাবার তৈরিতে দুধের ব্যবহার সর্বত্র। এ ছাড়া রমজান মাস ঘিরে দুধের বাড়তি চাহিদা থাকে। কিন্তু গত বছর করোনার প্রকোপে দুধের চাহিদা কমে গিয়েছিল। এমনকি রমজান মাসেও দুধের চাহিদা অন্য বছরের তুলনায় কম ছিল।

তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এবার পাস্তুরিত দুধের চাহিদা কমার আশঙ্কা নেই। বাজারে ইতোমধ্যেই দুধের চাহিদা বেড়েছে। কিন্তু সে তুলনায় সরবরাহ না থাকায় দাম বাড়তি রয়েছে। পাস্তুরিত দুধ বিপণনকারী কোম্পানিগুলো বলছে, রমজানে চাহিদার বিপরীতে সরবরাহ পর্যাপ্ত রাখতে বেশি পরিমাণ দুধ সংগ্রহ করা হচ্ছে। তবে খামারি পর্যায়ে দুধের দাম বেড়েছে।

রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ও মুদি দোকানগুলোয় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শবেবরাতের আগেই চিনি ও দুধের দাম বেড়েছে। দুই সপ্তাহ আগে তরল দুধের দাম লিটারে পাঁচ টাকা বাড়ায় পাস্তুরিত দুধ বিপণনকারী কোম্পানিগুলো। তারও আগে গুঁড়াদুধের দাম বেড়েছে।

রাজধানীর শান্তিবাগে শরিফ জেনারেল স্টোরের ব্যবসায়ী মো. মাহবুব জানান, বর্তমানে মিল্কভিটাসহ অন্য তরল দুধ প্রতি লিটার বিক্রি হচ্ছে ৭২ থেকে ৭৫ টাকায়। শবেবরাতের আগেই দাম বাড়িয়ে দিয়েছে কোম্পানিগুলো। আগে এক লিটারের প্যাকেট বিক্রি করেছি ৬৫ থেকে ৭০ টাকায়। গুঁড়াদুধের দামও অনেক বাড়তি এখন।

মিল্ক ভিটা কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, ‘গতবছর রামজানে চাহিদা কমে গেলেও এ বছর তা হয়নি। রমজানে প্রতিদিন গড়ে তিন লাখ লিটার দুধের চাহিদা রয়েছে। রমজানের অতিরিক্ত চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা বাড়তি দুধ সংগ্রহ করছি। বর্তমানে প্রতিদিন এক লাখ ২৫ হাজার থেকে ৩০ হাজার লিটার দুধ সরবরাহ করছি আমরা।’

অন্যদিকে বাজারে গুঁড়াদুধের দামও অনেকখানি বেড়েছে। কারওয়ানবাজার কিচেন মার্কেটের বিউটি স্টোরের ব্যবসায়ী মো. জাকির হোসেন জানান, গুঁড়াদুধের দাম আরও আগে থেকেই চড়তে শুরু করেছে। আগে ডিপ্লোমা দুধের এক কেজির প্যাকেট ৬১০ টাকায় বিক্রি করেছি, এখন তা ৬৪০ টাকায় বিক্রি করছি। একই ওজনের ডানো দুধের প্যাকেট বিক্রি করছি ৬১০ টাকায়, যা দুই সপ্তাহ আগেও ছিল ৫৮০ থেকে ৫৮৫ টাকা। কম দামের মধ্যে স্টারশিপ ব্র্যান্ডের এক কেজির প্যাকেট এখন ৪৩০ থেকে ৪৪০ টাকা। আগে যা বিক্রি করেছি ৪২০ টাকায়।

নিউজটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

ট্যাগঃ