ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৭ অগাস্ট ২০২৫, ৬:১০ অপরাহ্ন

হাইকোর্ট নির্দেশ দিলেই আল জাজিরা বন্ধ হবে: তথ্যমন্ত্রী

হাইকোর্টের নির্দেশনা পেলে বাংলাদেশে আল-জাজিরার সম্প্রচার বন্ধের ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।

শুক্রবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম নগরীর দেওয়ানবাজারের বাসভবনে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা গণমাধ্যমের অবাধ স্বাধীনতায় বিশ্বাস করি, হাইকোর্টের নির্দেশ পেলে আল-জাজিরার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। হাইকোর্ট যদি কোনো আদেশ দেন এটিকে বন্ধ করার জন্য, সে ক্ষেত্রে হাইকোর্টের আদেশ আমাদের মানতে হবে।‘

গত ১ ফেব্রুয়ারি রাতে ‘অল দা প্রাইম মিনিস্টারস মেন’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রচার করে আল-জাজিরা। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও সেনা সদর থেকে ওই প্রতিবেদনের প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।

এর জের ধরে সুপ্রিম কোর্টের একজন আইনজীবী বাংলাদেশে কাতারভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল আল-জাজিরার সম্প্রচার বন্ধে নির্দেশনা চেয়ে হাই কোর্টে একটি রিট আবেদন করেছেন। সেখানে আল-জাজিরায় সম্প্রচারিত ‘অল দা প্রাইম মিনিস্টারস মেন’ প্রতিবেদনটি ইউটিউব, ফেইসবুক ও টুইটার থেকে অপসারণের নির্দেশনাও চাওয়া হয়েছে।

রিট আবেদনটি গ্রহণযোগ্য কি না এবং আরজি অনুযায়ী আদালত একটি আন্তর্জাতিক টেলিভিশন চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধের নির্দেশ দিতে পারে কি না, সে বিষয়ে জ্যেষ্ঠ আইনজীবীদের মতামত জানতে চেয়েছে হাই কোর্ট।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী, ফিদা এম কামাল, আব্দুল মতিন খসরু, কামাল উল আলম, প্রবীর নিয়োগী ও শাহদীন মালিককে অ্যামিচি কিউরি হিসেবে আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি এ বিষয়ে মতামত দিতে অনুরোধ করা হয়েছে।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমরা চাইলে আল-জাজিরার সম্প্রচার আমাদের দেশে বন্ধ করতে পারতাম, অনেক দেশে বন্ধ করা হয়েছে এবং বন্ধ রয়েছে। এমনকি ভারতেও কিছু দিনের জন্য বন্ধ ছিল। এখনও ৬-৭টি দেশে আল-জাজিরার সম্প্রচার বন্ধ আছে। কিন্তু জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার যেহেতু গণমাধ্যমের অবাধ স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে, তাই আমরা সেই উদ্যোগ নিইনি।‘

তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার যেমন দরকার, দায়িত্বশীলতারও প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু স্বাধীনতা মানে এই নয়, ভুল, মিথ্যা, পক্ষপাতদুষ্ট ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং অপরের স্বাধীনতা হরণকারী সংবাদ পরিবেশন করা। এটা কোনোভাবেই সমীচীন নয়।‘

তিনি আরও বলেন, ‘আল-জাজিরার রিপোর্ট একটি মিথ্যা বানোয়াট, কিছু কাট পেস্ট করে রিপোর্টটি প্রকাশ করা হয়েছে। এটি একটি ব্যক্তিগত আক্রোশের বশবর্তী হয়ে রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে।‘

জিয়াউর রহমানের মুক্তিযুদ্ধের খেতাব বাতিলের প্রস্তাবের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের সময় জিয়াউর রহমানের ভূমিকা আসলে কী ছিল, সেটি নিয়ে নানা প্রশ্ন আছে। মুক্তিযোদ্ধার ছদ্মাবরণে তিনি প্রকৃতপক্ষে পাকিস্তানের সহযোগী হিসেবে কাজ করেছিলেন। তার খেতাব বাতিলের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত তো হয়নি এখনও। এটা নিয়ে জামুকাতে আলোচনা হয়েছে মাত্র।‘

নিউজটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

ট্যাগঃ