ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৭ অগাস্ট ২০২৫, ৫:৪৮ অপরাহ্ন

বেসরকারি হাসপাতালগুলোও করোনাভাইরাসের টিকা প্রদান করতে পারবে

বেসরকারি হাসপাতালগুলোও করোনাভাইরাসের টিকা প্রদান করতে পারবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আলোচনা করে এর ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর হোটেল ইন্টার-কন্টিনেন্টালে বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএমসিএ) আয়োজিত ‘জাতীয় কোভিড-১৯ টিকাদান কার্যক্রম ও বেসরকারি স্বাস্থ্যখাতের সম্পৃক্ততা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘করোনার টিকাদান কর্মসূচিতে অংশ নিতে চায় বেসরকারি হাসপাতালগুলো। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখা হাসিনা ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করবো। প্রধানমন্ত্রী অনুমতি দিলে একটি নীতিমালা তৈরি করা হবে। ঔষধের প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে তারাও টিকাদান কর্মসূচিতে অংশ নিতে পারবেন।’

দেশের ৬০ ভাগ স্বাস্থ্য সেবা বেসরকারি হাসপাতালে সম্পন্ন হয় উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘আমি মন্ত্রী থাকাকালে সবচেয়ে বেশি সংক্রামক এসেছে। শুরুর বছর ডেঙ্গু, এখন আবার করোনা। আমরা সবকিছু মোকাবেলা করতেহ সক্ষম হয়েছি। এর অন্যতম কারণ দেশের বেসরকারি খাতকে কাজে লাগানো। সরকার স্বাস্থ্যখাতে বেসরকারি সেক্টেরের সক্রিয়তা বাড়িয়েছে। বেসরকারি সেক্টর দেশের ৬০ ভাগ স্বাস্থ্য সেবা দেয়।’

দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে জানিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, ‘দেশে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলেই সবকিছু চালু রয়েছে। অনেক মাকড়সার জাল দিয়ে যেমন একটা সিংহে আটকে রাখা যায়, সেভাবে আমরা সবাই মিলে করোনাকে আটকে ফেরেছি। এটা সবার সহযোগিতায় সম্ভব হয়েছে।’

এছাড়াও করোনাকালে সরকারের নো মাস্ক নো সার্ভিস নীতি ও টেলিমেডিসিন সেবায় সফলতার চিত্র তুলে ধরেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

এ সময় টিকাদান কার্যক্রম সফল করতে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি খাতগুলোকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান।

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে বিপিএমসিএ সভাপতি এম এ মুবিন খান বলেন, ‘বেসরকারি হাসপাতাল ছাড়া সরকারের পক্ষে সুষ্ঠুভাবে চিকিৎসা সেবা দেওয়া সম্ভব নয়। ভ্যাকসিন প্রোগ্রামে বেসরকারি হাসপাতালগুলো সাথে নিলে স্পটে রেজিষ্ট্রেশন সক্ষমতা তৈরি হবে।’ এতে সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের কাজের চাপও কমে যাবে এবং জনগণ দ্রুত সেবা পাবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।

বিপিএমসিএ সভাপতি এম এ মুবিন খানের সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মো. খুরশীদ আলম, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) মহাসচিব ডা. মো. এম এ আজিজ, দ্যা ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাষ্ট্রির সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম প্রমুখ।

নিউজটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

ট্যাগঃ