ঢাকা, বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ৭:০১ অপরাহ্ন

অধ্যাপক মঈনুদ্দিন চৌধুরীর বাংলায় লিখিত বই ‘ইমোশনাল ইণ্টেলিজেন্স’ এর মোড়ক উন্মোচন

গত ২৯শে ডিসেম্বর ২০২০ তারিখে জুমে অনুষ্ঠিত হলো অধ্যাপক মঈনুদ্দিন চৌধুরীর বাংলায় লিখিত বই ‘ইমোশনাল ইণ্টেলিজেন্স’ এর মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান। অদম্য প্রকাশ, সোসাইটি ফর লীডারশীপ স্কীলস্ ডেভেলপম্যাণ্ট (এসএলএসডি) এবং এসএলএসডি স্কুল অভ্ ইমোশনাল ইণ্টিলিজেন্স যৌথভাবে বইটি প্রকাশ করেছে। “সারা বিশ্বে আর্টিফিশিয়াল ইণ্টিলিজেন্সের পাশাপাশি ইমোশনাল ইণ্টিলিজেন্স এর উপর ব্যাপক চর্চা চলছে। কিন্তু বাংলাদেশে এই বিষয়ে সঠিক দিক নির্দেশনামূলক জ্ঞান চর্চার ব্যাপক ঘাটতি রয়েছে। সোসাইটি ফর লীডারশীপ স্কীলস্ ডেভেলপম্যাণ্ট (এসএলএসডি) ই প্রথমবারের মত ইমোশনাল ইণ্টিলিজেন্স এর উপর আনুষ্ঠানিকভাবে ইংরেজী এবং বাংলায় অনলাইন কোর্স চালু করার পাশাপাশি বাংলায় ইমোশনাল ইণ্টিলিজেন্সের উপর একটি দক্ষতা চর্চা ভিত্তিক বই প্রকাশ করেছে । ইমোশনাল ইণ্টিলিজেন্স এর আরো ব্যাপক চর্চা সম্প্রসারনের জন্য এসএলএসডি স্কুল অভ্ ইমোশনাল ইণ্টিলিজেন্স প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এই বইটি প্রকাশের মাধ্যমে ইমোশনাল ইণ্টিলিজেন্স বা ‘আবেগীয় বুদ্ধিমত্তা’ কে আরো সহজভাবে সবার কাছে পৌঁছানোই আমাদের লক্ষ্য।“ বললেন সোসাইটি ফর লীডারশীপ স্কীলস্ ডেভেলপম্যাণ্ট এসএলএসডি এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও সিইও অধ্যাপক মঈনুদ্দিন চৌধুরী।

অনুষ্ঠানটি ছাত্র-ছাত্রী, পেশাজীবি, সরকারী-বেসরকারী উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা, সেনাবাহিনীর উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা, শিক্ষক ও বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দের মিলন মেলায় পরিনত হয়। ঢাকা চেম্বারের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেণ্ট এনকে মবিন খান, এফসিএস, এফসিএ বলেন, “বইটি উপস্থাপনায় চমৎকার হয়েছে। ঢাকা চেম্বারের ইনিস্টিটিউট কে বলবো এই ধারনাকে ব্যবহার করে অধ্যাপক মঈনকে নিয়ে কাজ করতে। এসেণ্ট গ্রূপের জিএম ফাইন্যান্স ও কোম্পানী সেক্রেটারী মুশফিকুর রহমান বলেন, “২০১০ সালে আমার প্রাক্তন সহকর্মী অধ্যাপক মঈনকে আইসিএমএবি এর জন্য একটি লিডারশীপ প্রশিক্ষণ আয়োজনের জন্য দায়িত্ব দিই। তিনি আমাদের “লিডারশিপ উইথ ইমোশনাল ইণ্টিলিজেন্স” নামক একটি প্রশিক্ষণ কর্মসূচী উপহার দেন। সেটা খুবই জনপ্রিয় হয়েছিলো। আজ তিনি সেই বিষয়ের উপর বাংলায় সহজে পাঠযোগ্য বই লিখেছেন দেখে খুবই ভাল লাগছে।“ নর্দান ইউনিভার্সিটি অভ্ বাংলাদেশের উপ-উপচার্য অধ্যাপক ডঃ নজরুল ইসলাম বলেন, “বাংলায় ইআই বুঝার জন্য এটি একটি মৌলিক বই হিসেবে কাজ করবে। এই বইকে ধরে আরো প্রচুর গবেষণা করার সুযোগ আছে।“ ইউটিএফসিএলের পরিচালক ও সিইও হাসান জাভেদ চৌধুরী বলেন, “বাংলায় সহজ ভাবে এমন একটি বই সত্যিই যুগান্তকারী পদক্ষেপ। লেখককে অভিনন্দন।“ ফেডারেশন অভ বাংলাদেশ হিউম্যান রিসোর্স অরগানাজেশনস্ (এফবিএইচআরও) এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মোঃ মোশারফ হোসেন বলেন,”এই রকম বই মানব সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনায় আরো বেশী বেশী প্রকাশ করা প্রয়োজন। বাংলাদেশে ‘ইমোশনাল ইণ্টিলিজেন্স’ বা ‘আবেগীয় বুদ্ধিমত্তা’কে জনপ্রিয় করতে এবং তা সর্বসাধারনকে সহজভাবে বুঝানো এবং চর্চা করার ক্ষেত্রে অধ্যাপক মঈনুদ্দিন চৌধুরী এবং তাঁর সংগঠন সোসাইটি ফর লীডারশীপ স্কীলস্ ডেভেলপম্যাণ্ট (এসএলএসডি) প্রসংশনীয় ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন নিরলসভাবে।“ একমি গ্রূপের কালিয়ার রেপলিকা লিঃ এবং কালিয়ার প্যাকেজিং এর সিওও সাকিল আহমেদ সিদ্দিকি বলেন,“এইরকম একটি কঠিন বিষয়টকে বাংলায় লিখার কারণে কর্পোরেটের অনেকে উপকৃত হবে। আমি আমার টীমে সবাইকে বলবো এই বইটা তাদের পেশাগত উৎকর্ষতা অর্জনে ব্যবহার করার জন্য।“ নেটওয়ার্ক প্রফেশনাল মুহম্মদ ফারুক বলেন, “বইটি আত্ম-উন্নয়নে একটি কার্যকর ভূমিকা রাখবে।“ দি ইণ্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অভ স্কল্যারের ব্যবসা প্রশাসন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক জে আলী বলেন, “এই বইটি পড়া মানে অনেক গুলো বইয়ের তথ্য এক জায়গায় পাওয়া। লেখক এই একটি বইয়ের জন্যই বাংলাদেশে চিরস্মরনীয় হয়ে থাকবেন।“ জেসিআই এর ন্যাশনাল সেক্রেটারী জেনারেল ইশমত জাহান বলেন, “বইটি ব্যক্তিগত ও পেশাগত পর্যায়ে খুবই কাজে লাগবে।“বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অভ প্রফেশনালস্ এর অধ্যাপক এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মেজর জেনারেল (অবঃ) অধ্যাপক আলাউদ্দিন ওয়াদুদ বলেন, “ইমোশনাল ইণ্টিলিজেন্স কে বুঝার জন্য বাংলা ভাষায় লিখা এটি প্রথম সহজবোধ্য বই।“ ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশের রিস্ক ম্যাজেম্যাণ্ট কমিটির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অবঃ) আব্দুল মতিন বলেন, “ইআইয়ের মূল ভাবধারাকে বজায় রেখে বাংলাদেশে এই প্রথম সহজ-সরল বাংলা ভাষায় লিখা একটি বই। এই বই বাংলাদেশের যুবসমাজকে নতুন পথ দেখাবে।“ বাংলাদেশ অরগানাইজেশন ফর লার্নিং এণ্ড ডেভেলপমেণ্টের সভাপতি জনাব কাজী এম আহমেদ বলেন, “আমি বলবো যে, ইমোশনাল ইণ্টিলিজেন্স এর উপর এটি একটি চমৎকার বই।“ নদী রক্ষা কমিশনের সদস্য অতিরিক্ত সচিব (অবঃ) মনির উজ্জামান বলেন,”লেখক ইংরেজী সাহিত্যের লোক হয়েও সমাজ বিজ্ঞান ও মনোবিজ্ঞানের বিষয়টিকে খুবই প্রাণবন্তভাবে উপস্থাপন করেছেন।“ ফেইথ বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ও জেণ্ডার বিশেষজ্ঞ নীলুফার করিম বলেন, “বাংলায় এমন কঠিন বিষয়ের উপর কোন মৌলিক বই লিখা বেশ চ্যালেঞ্জিং। লেখক সেটাকে জয় করেছেন এবং সেই জন্য বাংলাদেশে চিরস্মরনীয় হয়ে থাকবেন।“ ইউনাইটেড ইণ্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ডঃ ফরিদ এ সোবহানী বলেন, “আমি নতুন প্রজন্ম বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের এই বইটি পড়তে উৎসাহিত করবো।“ সিটি গ্রূপের পরিচালক (মানব সম্পদ) এম সাব্বির আলী বলেন,“লেখকে অভিনন্দন ও অনেক ধন্যবাদ। লিডারশিপ উন্নয়নে এই ধারণাটি এবং এই বইটি একটি যুগান্তকারী ভূমিকা রাখবে। কর্পোরেটে বিশেষ করে আমার কর্মক্ষেত্রের সকল সহকর্মীকে এই বইটি পড়ার জন্য অনুপ্রাণিত করেছি।“ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক কেএম মহিউদ্দিন বলেন, “বইটির বিষয়বস্তু খুবই সময়োপযোগী। লেখক কে অসংখ্য ধন্যবাদ ও অভিনন্দন।“ স্কীলআপ বাংলাদেশের সিইও চৌধুরী দৌলত মোহাম্মদ জেফ্রী বলেন,“এই বইটি পেশাগত ক্ষেত্রে আবেগের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করে ব্যক্তিগত উৎকর্ষতা উন্নয়নে সহায়তা করবে।“বিএসডিআইয়ের নির্বাহী পরিচালক কেএম হাসান রিপন বলেন, “আমি লেখককে অনুরোধ করবো উনার এই ধারনা সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে দিতে।“ ইনফিনিটি গ্রূপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শারমিন আফরোজ সুমী বলেন, “বইটি সহজ বাংলায় লিখার কারণে ইআই এর মত কঠিন কিন্তু অতি প্রয়োজনীয় বিষয়ের প্রতি মানুষের আগ্রহ বাড়বে।“ উত্তরা গ্রূপের তথ্য প্রযুক্তি বিভাগের গ্রূপ প্রধান মোঃ মাসুদ খান বলেন, “ইআই এবং এআই দু’টোকে সমন্বয় করতে এই বই খুব কাজে লাগবে।“ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক এবং এসএলএসডি এর ভাইস প্রেসিডেণ্ট মিজানুর রহমান বলেন, “বইটি বাংলাদেশের ইমোশনাল ইণ্টিলিজেন্স এর জগতে আলোড়ন সৃস্টিকারী বই।“টেন মিনিট স্কুলের শিক্ষক শেখ সিদরাতুল মুনতাহা বলেন, “মানুষের জীবনকে সুন্দরভাবে পরিচালনা করতে এই বইটি বিশেষ অবদান রাখবে।“

অনুষ্ঠানটির সাপোর্টিং পার্টনার ছিলেন বোল্ড, ক্রীয়েটিভ আইটি, ব্রেইন টকস্, রাইজার্স নেক্সট, ইন্টারএকটিভ কেয়ার্স, মাসলো বাংলাদেশ, স্কীলআপ বাংলাদেশ ও অদম্য প্রকাশ এবং মিডিয়া পার্টনার ছিলেন জিটিভি, পিওপলস্ রেডিও এবং সিএনআই।

নিউজটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

ট্যাগঃ