টেলিভিশনের রেটিং পয়েন্ট বা টিআরপি নিয়ে দেশে এক ধরনের অস্পষ্টতা রয়েছে। কখন কোন টেলিভিশন চ্যানেল টিআরপিতে উপরে উঠে যায় বা নিচে নেমে যায় তা নিয়ে রীতিমত বিতর্কও সৃষ্টি হয়। অনেক সময় দেখা যায় কোনো একটি টেলিভিশন মানুষ তেমন দেখেই না অথচ টিআরপিতে তার অবস্থান অনেক উপরে থাকে। এ নিয়ে নানা আলোচনা-সমালোচনা হয়।
এমন পরিস্থিতিতে সরকার টিআরপির অস্পষ্টতা নিরসনের উদ্যোগ নিচ্ছে। এ ব্যাপারে কমিটি গঠন করা হবে। সেই কমিটিতে সরকার এবং বেসরকারি অংশীজনরা থাকবে। সবাই মিলে টিআরপির নির্ধারণের কৌশল প্রণয়ন করবে। পুরো বিষয়টিই নিয়মনীতির মধ্যে নিয়ে আসা হবে।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে এ ব্যাপারে দিক নির্দেশনা দিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। বিভিন্ন দেশে কীভাবে টিআরপি নির্ধারণ করা হয় তা পর্যালোচনা, পরীক্ষা-নিরীক্ষার পাশাপাশি এ সংক্রান্ত আইনগুলোও ইতোমধ্যে পর্যালোচনা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী।
টিআরপি কীভাবে নির্ধারিত হবে সেই কৌশল প্রণয়নের জন্য আগামী সপ্তাহে অংশীজনদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করে দেবেন তথ্যমন্ত্রী। যে কমিটি নির্ধারণ করবে কীভাবে টিআরপি নির্ধারিত হবে।
দেশে টিআরপির ক্ষেত্রে নানা অসংগতির উল্লেখ করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, টিআরপির ক্ষেত্রে নানা ধরনের অসংগতি যেমন লক্ষ্য করা যায় তেমনি কীভাবে টিআরপি নির্ধারণ হয় তা নিয়েও অনেকে অনেক প্রশ্ন উত্থাপন করেন। অনেক সময় দেখা যায় একটা টেলিভিশন মানুষ দেখেই না কিন্তু তারা টিআরপিতে অনেক উপরে। এ রকম অনেক কিছু ঘটে। তথ্যমন্ত্রী বলেন, অনুমোদনহীন টিআরপি সরকারের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়, এ ক্ষেত্রে একটি শৃঙ্খলা অবশ্যই আনতে হবে।

মূলত কোনো টিভির ধারাবাহিক/ রিয়ালিটি অনুষ্ঠান, নির্দিষ্ট সময় অন্তর, কতজন দর্শক দেখছে, তা পরিমাপ করে এই টিআরপি। এই রেটিং পয়েন্ট মাপার সবচেয়ে কার্যকরী উপায় হচ্ছে টেলিভিশন অডিয়েন্স মেজারমেন্ট বা ট্যাম পদ্ধতি। আর এই পদ্ধতি যে ক্রমানুসারে সূচিত হয়, তা ‘পিপল মিটার’ নামে পরিচিত।
এটা নির্দিষ্ট সময়সূচির মধ্যে প্রতিটি টিভির চালু করা ও বন্ধের সময় রেকর্ড করে এলাকার ভিত্তিতে। সংগ্রহ করা তথ্যগুলি গুণ করা হয় সমগ্র সম্ভাব্য লক্ষ্যমাত্রার দর্শক সংখ্যার সঙ্গে। মাসব্যাপী ফলাফলের ভিত্তিতে প্রোডাকশন হাউসগুলো দেখে নেয় কোন অনুষ্ঠানের টিআরপি বেশি না কম।


















