করোনা মহামারীর মধ্যে ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশে ছড়িয়ে পড়া অজ্ঞাত রোগে আক্রান্ত ৫০০ ছাড়িয়ে গেছে। মারা গেছে একজন।
এই সময় জানায়, ইতিমধ্যেই সেখানে পৌঁছেছে অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সেসে-এআইআইএমএস’র একটি দল।
জানা গেছে, আক্রান্তদের রক্তে প্রচুর পরিমাণে সিসা ও নিকেল পাওয়া গেছে। অজ্ঞাত এই রোগে আক্রান্তদের মধ্যে ৪৫ জনের বয়স ১২ বছরের নিচে। কী কারণে এই রোগ ছড়িয়েছে তা এখন পর্যন্ত চিহ্নিত করা সম্ভব হয়নি।
উপসর্গ হিসেবে রোগীদের মধ্যে বমি ভাব রয়েছে এবং তাদের মধ্যে অনেকেই অজ্ঞান হয়ে পড়ছে।
আশার খবর হলো- আক্রান্তের সংখ্যা ৫০০ পার হলেও ৩০০ জনকে ইতোমধ্যেই হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রীর অফিস থেকে জানানো হয়েছে, ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব কেমিক্যাল টেকনোলজি ও অন্যান্য সংস্থার পক্ষ থেকে দ্রুততার সঙ্গে রোগের উৎস খোঁজা হচ্ছে।
বিজেপি সাংসদ জিভিএল নরসিমহা রাও বলেন, ‘রোগীদের রক্তের নমুনা দিল্লির এআইআইএমএসে পরীক্ষা করা হয়েছে। সেখানে বেশির ভাগ নমুনায় সিসা, নিকেল ও অন্যান্য ভারী ধাতুর উপস্থিতি পাওয়া গেছে।’
‘তবে আশার আরও একটি কথা হলো- এখন পর্যন্ত মানবদেহ থেকে মানবদেহে এই রোগ ছড়িয়ে পড়ার কোনো প্রমাণ মেলেনি’ যোগ করেন তিনি।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, উপ-রাষ্ট্রপতি ভেনকাইয়া নাইডু এআইআইএমএস’র প্রতিনিধিদের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেছেন। বিশেষজ্ঞরা চিকিৎসকদের সঙ্গে সর্বক্ষণ যোগাযোগ রাখছেন।
অন্ধ্রের মুখ্যমন্ত্রী জগনমোহন রেড্ডি সরকারি হাসপাতালে গিয়ে রোগীদের সঙ্গে দেখা করেছেন। পরিস্থিতি বুঝে খুব শিগগিরই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) বিশেষজ্ঞ দলেরও আসার কথা রয়েছে।
উল্লেখ্য, করোনায় সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় থাকা রাজ্যগুলোর মধ্যে অন্যতম অন্ধ্রপ্রদেশ। ইতিমধ্যেই এই রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে আট লাখের ওপর।
অন্ধ্রের স্বাস্থ্যমন্ত্রী আল্লাকালি কৃষ্ণা শ্রীনিভাস বলেন, রহস্যময় রোগে আক্রান্ত রোগীদের সকলেরই করোনা টেস্ট করা হয়েছে। কিন্তু সবার ফলই নেগেটিভ এসেছে।
তার ভাষ্য, ‘এটি একটি রহস্যজনক রোগ। পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমেই এই রোগের কারণ জানা যাবে।’