যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি ও ফার্মা জায়ান্ট অ্যাস্ট্রাজেনেকার উদ্ভাবিত করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন নিরাপদ ও কার্যকর বলে দাবি করেছেন গবেষকেরা। স্বতন্ত্র পর্যালোচনায় বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। গবেষণাটি মঙ্গলবার প্রকাশিত হয়েছে মেডিসিন জার্নাল দ্য ল্যানসেটে। বিবিসি।
অক্সফোর্ড ভ্যাকসিনের চূড়ান্ত পর্বের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের এটিই প্রথম পিয়ার-রিভিউড বিশ্লেষণ। অক্সফোর্ডের টিকা পরীক্ষায় সংশ্লিষ্ট নন, এমন বিজ্ঞানীদের একটি দল টিকাটির মানবদেহে পরীক্ষার ফলাফল পর্যালোচনা করেছেন। তাঁরা ২০ হাজার স্বেচ্ছাসেবকের ওপর চালানো পরীক্ষার পূর্ণাঙ্গ ফলাফল পর্যালোচনা করেছেন। এই স্বেচ্ছাসেবকদের বেশির ভাগেরই বয়স ৫৫ বছরের কম। তবে পরীক্ষায় দেখা গেছে, টিকাটি প্রবীণদের ক্ষেত্রেও ভালো কার্যকর।
আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে যুক্তরাজ্যে ভ্যাকসিনটি ব্যবহারের অনুমোদন পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। যুক্তরাজ্য ও ব্রাজিলে প্রায় ১২ হাজার স্বেচ্ছাসেবক ভ্যাকসিনটির ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে অংশ নিচ্ছেন। পরীক্ষার প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, এটি ৭০ দশমিক ৪ শতাংশ কার্যকর। পরীক্ষায় অংশ নেওয়া যে গোষ্ঠী দুটি ডোজ নিয়েছেন তাদের ক্ষেত্রে কার্যকারিতার হার ৬২ দশমিক ১ শতাংশ। কিন্তু যে গোষ্ঠী প্রথমবার অর্ধেক ডোজ এবং পরে পূর্ণাঙ্গ ডোজ নিয়েছেন তাদের ক্ষেত্রে কার্যকারিত ৯০ শতাংশ পর্যন্ত ছুঁয়েছে।
ল্যানসেটে প্রকাশিত গবেষণা নিবন্ধে জানানো হয়েছে, পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী ১ হাজার ৩৬৭ জন স্বেচ্ছাসেবীর শরীরে টিকাটির প্রথম ডোজ অর্ধেক মাত্রায় এবং দ্বিতীয় ডোজ পূর্ণ মাত্রায় প্রয়োগ করা হয়। এরপর দেখা গেছে, তাঁদের ক্ষেত্রে টিকাটি করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে ৯০ শতাংশ পর্যন্ত কার্যকর।
উল্লেখ্য, অক্সফোর্ড ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল এখনও চলছে। ভ্যাকসিনটিতে রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা কতদিন টিকে থাকবে তা নিয়ে আলোচনা চলছে।