জুয়াড়ির কাছ থেকে পাওয়া ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব গোপন করায় এক বছরের জন্য সব ধরনের ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ হয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। সেই নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ এখন। সাকিব এখন মুক্ত।
তাই গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে ঢাকায় পা রাখেন সাকিব আল হাসান। চলছে মহামারি করোনার প্রকোপ। এই মুহূর্তে নিয়মানুযায়ী হোম কোয়ারেন্টাইন পালন করার কথা তার। কিন্তু সাকিব সেটা না করে দেশে ফেরার ১০ ঘণ্টার মধ্যেই একটি সুপারশপ উদ্বোধন করতে গেলেন। এরপর থেকেই বিতর্ক চলছে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারকে নিয়ে।

কারণ কোয়ারেন্টিনের নিয়ম না মেনেই জনসমাগমে অংশ নিয়েছিলেন সাকিব। যেখানে গত সপ্তাহেই বিদেশফেরতদের কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই অবস্থায় সাকিবের ভোররাতে দেশে ফিরে দুপুরেই কোনো প্রতিষ্ঠানের উদ্বোধনীতে যাওয়ার খবর শুনে ভালোভাবে নিতে পারেননি স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাপক শাহলিনা ফেরদৌস। তিনি বলেন, ‘সাকিব এটি একদমই ঠিক কাজ করেননি। এ রকম করা যায় না। কোভিড নেগেটিভ সার্টিফিকেট থাকলেও ওনার ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন করার কথা।’
যুক্তরাষ্ট্র থেকে সাকিব নিয়ে এসেছেন করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট। তার জন্য হোম কোয়ারেন্টাইন বাধ্যতামূলক ছিল। শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে গুলশানে একটি সুপারশপের উদ্বোধন করেন সাকিব। সেই অনুষ্ঠানের কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। ছবিতে দেখা গেছে, সাবেক অধিনায়ককে দেখতে জমায়েত হয়েছে অসংখ্য মানুষ। এমন ভিড় ঠেলে ভেতরে ঢুকে ফিতা কাটেন তিনি। উপরন্তু এ সময় তিনি মাস্ক পরাও ছিলেন না।
সোমবার সাকিবের করোনা টেস্ট করার কথা। তার আগেই এই ক্রিকেটারের এমন কর্মকাণ্ডে কিছুই করার নেই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি)। প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা বিভাগের প্রধান আকরাম খান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বায়ো বাবলে থাকলে ক্রিকেটারদের দেখভালের দায়িত্ব বিসিবির। এই মুহূর্তে সাকিব বাবলে নেই। তাই তার ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে আমাদের কিছুই বলার নেই।’

প্রসঙ্গত, গত ২৯ অক্টোবর দেশে ফিরে পরদিনই অনুশীলনে যোগ দিয়েছিলেন জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া। তবে এর আগে করোনা পরীক্ষা করিয়ে ‘নেগেটিভ’ হয়েছিলেন তিনি। নেপাল ম্যাচ সামনে রেখে বিদেশি কোচ ও দেশের বাইরে থেকে আসা খেলোয়াড়দের জন্য এ বিষয়ক বিশেষ ছাড়পত্রও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে নিয়ে রেখেছিল বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডও (বিসিবি) বিদেশি কোচদের একই প্রক্রিয়ায় আগেভাগে অনুশীলন তদারকিতে নেমে যাওয়ার অনুমোদন নিয়েছিল। সাকিবের ক্ষেত্রে সে অনুমোদন এখনো নেওয়া হয়নি।