টানা দুই কার্যদিবস বড় দরপতনের পর সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবস মঙ্গলবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সবকটি মূল্যসূচক বেড়েছে। তবে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ।
দিনের লেনদেন শেষে মূল্যসূচকের উত্থান হলেও এদিন লেনদেনের শুরুর দিকে নেতিবাচক প্রবণতা দেখা যায়। এতে প্রথম ১০ মিনিটের লেনদেনে ডিএসইর প্রধান সূচক ঋণাত্মক হয়ে পড়ে।
তবে দুপুর ১২টার পর থেকে ঘুরতে থাকে শেয়ারবাজার। বাড়তে থাকে লেনদেনে অংশ নেয়া একের পর এক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম। এতে বড় উত্থানের আভাস মেলে। একপর্যায়ে ডিএসইর প্রধান সূচক ৫০ পয়েন্টের ওপরে বেড়ে যায়।
তবে শেষ আধ ঘণ্টার লেনদেনে আবার বেশকিছু প্রতিষ্ঠানের দরপতন হয়। ফলে আটকে যায় সূচকের বড় উত্থান। দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৩০ পয়েন্ট বেড়ে চার হাজার ৮৩৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এর আগে গতকাল সূচকটি ৪৮ পয়েন্ট কমে। এর আগের দিন রোববার কমে ৫৮ পয়েন্ট। ফলে দুই দিনের টানা পতনে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক কমে ১০৬ পয়েন্ট।
টানা পতনের পর প্রধান সূচকের পাশাপাশি উত্থান হয়েছে ডিএসইর অপর দুই সূচকের। এর মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক সাত পয়েন্ট বেড়ে এক হাজার ১০৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসই-৩০ আগের দিনের তুলনায় ১১ পয়েন্ট বেড়ে এক হাজার ৬৪৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
সূচকের এই উত্থানের দিন ডিএসইতে অংশ নেয়া ১৮৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে কমেছে ৯৮টি এবং ৭৩টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সূচকের উত্থান হলেও লেনদেনে নেতিবাচক প্রবণতা দেখা দিয়েছে। প্রায় আড়াই মাস পর বা ৩০ জুলাইয়ের পর ডিএসইতে সর্বনিম্ন লেনদেন হয়েছে। এদিন বাজারে লেনদেন হয়েছে ৫৮৯ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৬৯৪ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। সেই হিসাবে আগের দিনের তুলনায় লেনদেন কমেছে ১০৪ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে কন্ট্রিনেন্টাল ইন্সু্যরেন্সের শেয়ার। কোম্পানিটির ৩৩ কোটি ৭৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
