ঢাকা, সোমবার, ৪ অগাস্ট ২০২৫, ২:১৬ পূর্বাহ্ন

ফেনীতে সেপটিক ট্যাংকে এক বন্ধুর বিক্ষত লাশ, অন্যজন হাসপাতালে

ফেনীতে সেপটিক ট্যাংক থেকে মো. ইউনুছ বাবু (২৩) নামে এক যুবকের ক্ষতবিক্ষত গলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে শহরেরর পাঠানবাড়ী সড়কের শফিকুর রহমান সড়কের তাসফিয়া ভবনের সেপটিক ট্যাংক থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।

তার আগের দিন শুক্রবার একই সেপটিক ট্যাংক থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় শাহরিয়ার নামে বাবুর এক বন্ধুকে উদ্ধার করা হয়।

বাবু চীনের আহোট বিশ্ববিদ্যালয়ে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে পড়াশোনা করতেন। তিনি শহরের রামপুর শাহীন একাডেমী এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন। তার বাড়ি সোনাগাজী উপজেলার তাকিয়া বাজার এলাকায় পাইকপাড়া গ্রামে।

পুলিশ জানায়, খবর পেয়ে পুলিশ রাত সাড়ে ১০টার দিকে ওই ভবনে গিয়ে সেপটিক ট্যাংকে লাশ দেখতে পায়। পরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. আতোয়ার রহমান, ফেনী মডেল থানার ওসি মো. আলমগীর হোমেন ও পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সুদ্বীপ রায়সহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে লাশ উদ্ধার করা হয়। তবে সেপটিক ট্যাংকে থাকায় লাশে পচন ধরে যায়।

লাশের পরনে জামা দেখে নিহতের ছোট ভাই মো. ইরফান বাপ্পি জানান, গত বৃহস্পতিবার রাত আটটার দিকে শাহরিয়ার ও রাকিব নামে দুই বন্ধু বাবুকে মোবাইল ফোনে বাসা ডেকে নেন। এরপর থেকে অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি।

পরদিন শুক্রবার ভোরে ওই সেপটিক ট্যাংক থেকে ফুলগাজী উপজেলার আনন্দপুর ইউনিয়নের আমান উদ্দিন ভুঞা বাড়ীর বাসিন্দা মো. শাহরিয়ারকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধারের পর আমরা বিষয়টি পুলিশকে অবগত করি। পরে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে।

পরে শাহরিয়ারকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় ভবনটির কেয়ারটেকার মো. মোজাম্মেল হক শাহীনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এদিকে ওই ভবনের এক বাসিন্দা জানান, শাহরিয়ার ও বাবু প্রায় ভবনের কেয়ারটেকার শাহীনের কাছে আসতেন। বৃহস্পতিবার রাতে তারা এখানে এসেছিলেন। কিন্তু কেয়ারটেকার শাহীনের সাথে তাদের কোন ধরনের সম্পর্ক ছিল বলতে পারেননি তিনি।

এ ঘটনায় ছেলেকে না পেয়ে শুক্রবার রাতেই শাহরিয়ারকে আসামি করেন মামলা দায়ের করেন বাবুর মা রেজিয়া বেগম। সেপটিক ট্যাংক থেকে শাহরিয়ার উদ্ধারের পর একইদিন রাতে তার মাও থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় বাড়ির কেয়ারটেকার মোজাম্মেল হক শাহিনকে আটক দেখানো হয়েছে।

এ বিষয়ে শহর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সুদ্বীপ রায় জানান, নিহতের শরীরের সামনের অংশে দুটি ও পেছনের অংশে তিনটি ধারালো অস্ত্রের কোপের দাগ রয়েছে। এছাড়াও কণ্ঠনালিতে পাটের রশি দিয়ে গিট দেয়া ছিল। ঠিক কি কারণে হত্যাকাণ্ড সংগটিত হয়েছে তার রহস্য বের করতে তৎপর রয়েছে পুলিশ।

নিউজটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন