সম্প্রতি ধর্ষণের বিভিন্ন ঘটনা নিয়ে মানুষের মাঝে সৃষ্টি হয়েছে চরম উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা৷ গত ২৫ সেপ্টেম্বর রাত ৮টা নাগাদ সিলেটের এমসি কলেজের ফটকের সামনে বেড়াতে যাওয়া এক তরুণী ও তার স্বামীকে জোরপূর্বক কলেজের ছাত্রাবাসে নিয়ে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে ধর্ষণ করেন একদল তরুণ। এ ঘটনার প্রতিবাদে ফেটে পড়েন দেশের মানুষ। এ ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই কয়েকদিনের মাথায় নোয়াখালীর ধর্ষণের একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়। ভিডিওতে দেখা যায়, বেগমগঞ্জ উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নে অনৈতিক কাজের অপবাদ দিয়ে এক নারীকে বিবস্ত্র করে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করে একদল যুবক। এ ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে মুহূর্তের মধ্যে তোলপাড় সৃষ্টি হয় সর্বত্র।
এভাবে একেরপর এক ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে মানুষ মানববন্ধন, মিছিল, সভা, সমাবেশ করার পাশাপাশি সমাজিক মাধ্যমকেও সরব করে তুলেছে।
বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা ধর্ষণের প্রতিবাদে তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। সেখানে তিনি বলেন, “আপনার মেয়ে যখন আপনার কোলে বসে থাকে, তখন আপনার সেই অনুভূতি হয় না। যখন আপনার বোন আপনার পাশের রুমে থাকে, তখনও সেই অনুভূতি আসে না। আপনার স্ত্রীকে নিয়ে যখন আপনি ঘুরতে বেরোন, তখন তার দিকে বাঁকাভাবে তাকালে আপনার খারাপ লাগে। কিন্তু অন্যকে দেখার ক্ষেত্রে কি আমার, আপনার অনুভূতি একই রকম আছে?”
তিনি আরও বলেন, “তা না হলে বুঝে নিতে হবে, সমস্যা অনেকের মগজেই। হয়তো পরিবেশ-পরিস্থিতির কারণে সবারটা প্রকাশ পায় না। আসুন মানসিকতা পরিবর্তন করি। নারীকে মাথা উঁচু করে বাঁচতে দিই।”
ধর্ষকের কুৎসিত মানসিকতা নিয়ে মাশরাফি বলেন,”আর ধর্ষক কোনো পরিচয় বহন করে না। সে কুৎসিত, হয়তো চেহারায় নয়, মানসিকতায়।”