৫০০ কোটি টাকার বন্ড ইস্যুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে আইডিএলসি ফাইন্যান্স

35

আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতের কোম্পানি আইডিএলসি ফাইন্যান্স লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ ৫০০ কোটি টাকার বন্ড ইস্যুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্যমতে, কোম্পানিটি বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে ৫০০ কোটি টাকা উত্তোলন করবে। কোম্পানিটি প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে ফেসভ্যালুতে বন্ড ইস্যু করবে। আনসিকিউরড নন-কনভার্টেবল জিরো কুপন বন্ডের মেয়াদ হবে ৪ বছর। তবে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এবং অন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর অনুমোদনক্রমে অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হওয়ার পর এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।

এদিকে ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটি ৩৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে, যা তার আগের বছরের সমান। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে চার টাকা ৫১ পয়সা এবং ৩১ ডিসেম্বর শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৩৭ টাকা ১৮ পয়সা, আগের বছর একই সময় যা ছিল যথাক্রমে ৫ টাকা ৭৬ পয়সা ও ৩৬ টাকা ১৭ পয়সা। ২০১৯ সালে মোট মুনাফা করে ১৬৯ কোটি ৯৯ লাখ ২০ হাজার টাকা, যা আগের বছরে ছিল ২১৭ কোটি ১০ লাখ টাকা।

কোম্পানিটি ১৯৯২ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। এক হাজার কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৩৭৭ কোটি পাঁচ লাখ ১০ হাজার টাকা। কোম্পানিটির মোট ৩৭ কোটি ৭০ লাখ ৫০ হাজার ৭৮০টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসই থেকে প্রাপ্ত সর্বশেষ তথ্যমতে মোট শেয়ারের ৫৬ দশমিক ৬৬ শতাংশ উদ্যোক্তা বা পরিচালক, প্রতিষ্ঠানিক ২১ দশমিক ২৪ শতাংশ, বিদেশি ১১ দশমিক ৩৪ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ১০ দশমিক ৭৬ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন, ২০২০) শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৯৯ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল এক টাকা ৩১ পয়সা। এছাড়া ২০২০ সালের ৩০ জুন শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ৩৫ টাকা ৪৪ পয়সা, যা ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বরে ছিল ৩৭ টাকা ১৮ পয়সা। প্রথম দুই প্রান্তিকে (জানুয়ারি-জুন, ২০২০) ইপিএস হয়েছে এক টাকা ৭৭ পয়সা, আগের বছর একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল দুই টাকা ৬৭ পয়সা। প্রথম দুই প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ দাঁড়িয়েছে তিন টাকা ২৮ পয়সা লোকসান, অথচ আগের বছরের একই সময়ে চার টাকা ১২ পয়সা ছিল।

এদিকে গতকাল ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর এক দশমিক ২২ শতাংশ বা ৭০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ৫৬ টাকা ৭০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ৫৬ টাকা ৪০ পয়সা। দিনজুড়ে এক লাখ ৬৭ হাজার ১৩১টি শেয়ার মোট ১৪৯ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ৯৪ লাখ ৪০ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনিম্ন ৫৬ টাকা ৪০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৫৬ টাকা ৭০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে শেয়ারদর ৩৫ টাকা থেকে ৬০ টাকায় হাতবদল হয়।

সর্বশেষ নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং বাজারদরের ভিত্তিতে কোম্পনিটির শেয়ারের মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) ১২ দশমিক ৫১। আর অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ১৫ দশমিক ৯৩।