ঢাকা, রবিবার, ৩ অগাস্ট ২০২৫, ৭:৪৬ অপরাহ্ন

গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনায় বাদল-দেলোয়ার গ্রেপ্তার

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে গৃহবধূকে ধর্ষণ চেষ্টা ও শ্লীলতাহানি করে ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার মামলার প্রধান আসামি বাদল এবং দেলোয়ার বাহিনীর প্রধান দেলোয়ারকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।

সোমবার সকালে এক এসএমএস বার্তায় র‌্যাব জানায়, বাদলকে ঢাকা থেকে আর দেলোয়ারকে নারায়ণগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে ঘরে ঢুকে এক গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন করেছে একদল যুবক ও কিশোর। ছেলের বয়সী ওইসব কিশোর-যুবকের পায়ে ধরেও রেহাই পাননি ৩৭ বছর বয়সী ওই নারী।

ভয়ে ৩২ দিন আগের ঘটনাটি কাউকে জানাতেও পারেননি নির্যাতিতা কিংবা তার স্বজনরা। ২ সেপ্টেম্বর রাতের ঘটনার একটি ভিডিওচিত্র গতকাল রবিবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হলে তা জানাজানি হয়।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া প্রায় দেড় মিনিটের ওই ভিডিও চিত্রে দেখা যায়, ওই গৃহবধূ নিজের সম্ভ্রম রক্ষার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেন। কিন্তু নির্যাতনকারীরা তার পোশাক কেড়ে নিয়ে কিছু একটা বলতে থাকে। তিনি প্রাণপণে সম্ভ্রম রক্ষার চেষ্টা করেন, হামলাকারীদের ‘বাবা’ ডাকেন এবং তাদের পায়ে ধরেন। কিন্তু তারা ভিডিও ধারণ বন্ধ করেনি। বরং এক যুবক কয়েকবার ওই নারীর মুখে লাথি মারে ও পা দিয়ে মুখসহ শরীর মাড়িয়ে দেয়। এরপর তার শরীরে একটা লাঠি দিয়ে মাঝে মাঝেই আঘাত করতে থাকে। সে তার নগ্ন ছবি ধারণ করে। একজন হাত উঁচিয়ে তাকে ইন্ধন জোগায়। এ সময় ঘটনাটি ফেইসবুকে ছড়িয়ে দেবে বলে উল্লাস প্রকাশ করে ‘ফেইসবুক’ ‘ফেইসবুক’ বলে চেঁচায় আরেকজন।

রবিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ওই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আরও দুজনকে আটক করেছে পুলিশ।

নির্যাতিতার বাবা সাংবাদিকদের বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িতরা প্রভাবশালী হওয়ায় ভয়ে তাদের বিরুদ্ধে মুখ খোলার সাহস করেননি তারা। ওই যুবকদের ভয়ে ঘটনার পর তার মেয়ে বাড়ি ছেড়ে চলে যায়।

গত ২৫ সেপ্টেম্বর সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে এক গৃহবধূকে দলবেঁধে ধর্ষণের ঘটনায় সারা দেশে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও প্রতিবাদ করে লেখালেখি হয়। বেগমগঞ্জের ঘটনায়ও রবিবার থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে প্রতিবাদ।

নিউজটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন