যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনায় ‘রাজি’ আর্মেনিয়া

15

আজারবাইজানের সঙ্গে অব্যাহত রক্তক্ষয়ী লড়াইয়ের মধ্যে যুদ্ধবিরতি নিয়ে ফ্রান্স, রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় ‘রাজি হয়েছে’ আর্মেনিয়া।

এদিকে দখলে থাকা আজেরি ভূখণ্ড নাগরনো-কারাবাখ থেকে আর্মেনীয় সেনা প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে আজারবাইজান। খবর: আল-জাজিরা।

গত ২৭ সেপ্টেম্বর সকালে আর্মেনিয়ার সেনাদের গোলাবর্ষণের জবাবে পাল্টা হামলা চালায় আজেরি সেনারা। এরপর তা পুরোদমে যুদ্ধে রূপ নিলে উভয়পক্ষে ব্যাপক হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটে।

আর্মেনিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতি বলেছে, ওএসসিই গ্রুপের মধ্যস্থতাকারী কো-চেয়ার সদস্য ফ্রান্স, রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় ‘প্রস্তুত আছে’ আর্মেনিয়া।

একই সঙ্গে আজারবাইজানকে উদ্দেশ করে এতে বলা হয়, ‘নাগরনো-কারাবাখের আগ্রাসন আমাদের কঠোর ও দৃঢ় পাল্টা জবাব পেতে থাকবে।’

আজেরি বাহিনীর হামলায় এখন পর্যন্ত ১৫৮ সেনা নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে আর্মেনিয়া। তবে আজারবাইজানের দাবি, এই সংখ্যা ৫ হাজারের বেশি।

অন্যদিকে নিজেদের ১৯ বেসামরিক নাগরিক নিহতের কথা স্বীকার করলেও সেনা হতাহতের কোনো পরিসংখ্যান দেয়নি আজারবাইজান।

তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলু বলেছেন, আর্মেনিয়ার বিবৃতিতে স্পষ্ট হয়েছে আলোচনা সম্ভব। যুদ্ধবিরতিতে আজারবাইজানকে রাজি করানোর জন্য অবশ্যই আর্মেনীয় সেনাদের প্রত্যাহার করে নিতে হবে।

আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান উভয় দেশই সোভিয়েত ইউনিয়নের অংশ ছিল। ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ার পর তারা দুটি স্বাধীন দেশে পরিণত হয়। প্রায় চার দশক ধরে নাগোরনো-কারবাখ অঞ্চল নিয়ে প্রতিবেশী দেশ দুটির মধ্যে বিরোধ চলছে।

নাগোরনো-কারবাখ অঞ্চলকে আন্তর্জাতিকভাবে আজারবাইজানের এলাকা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হলেও এটি এখনো আর্মেনিয়ান নৃগোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

গত জুলাইয়ে সীমান্তে দুপক্ষের মধ্যে লড়াইয়ে কমপক্ষে ১৬ জন নিহত হয়। নিহতদের মধ্যে আজারবাইজানের উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তাও রয়েছেন। এরপর থেকে দু’দেশের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল।