সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে আটকে রেখে গৃহবধূকে গণধর্ষণের মামলার আসামি মাহফুজুর রহমান মাসুমের রিমান্ড আবেদন শুনানিকালে আদালতে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন মাসুম। ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকলেও এ ঘটনায় জড়িত নন বলে আদালতে দাবি করেন তিনি।
বুধবার দুপুরে সিলেটের মুখ্য মহানগর হাকিম মো. আবুল কাশেমের আদালতে তার রিমান্ড আবেদন শুনানিকালে আসামিপক্ষের কোনো আইনজীবী না থাকায় ধর্ষণ মামলার আসামি মাসুম নিজে আদালতে তার বক্তব্য প্রদানকালে এসব কথা বলেন।

শুনানিকালে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পিপি মো. মাহফুজুর রহমান জানান, নিজেকে নির্দোষ দাবি করে মাসুম আদালতকে বলেছেন ‘মোবাইলে খবর পেয়ে মোটরসাইকেল নিয়ে আমি এমসি ছাত্রাবাসে গিয়েছিলাম। তবে ধর্ষণের ঘটনার সাথে আমি জড়িত নই।’
সরকারি এ কৌঁসুলি আরও বলেন, মাসুম নিজের পক্ষে সাফাই গাওয়া শুরু করলে আদালত তাকে থামিয়ে দেন। এরপর রিমান্ড আবেদন শুনানি সম্পন্ন করে পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মহানগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) অমূল্য কুমার চৌধুরী জানান, গণধর্ষণ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহপরান থানার ওসি (তদন্ত) ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য আসামি মাহফুজুর রহমান মাসুমকে সাত দিনের রিমান্ডে নিয়ে এ ঘটনা সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আবেদন করেন। আদালত পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এ নিয়ে চাঞ্চল্যকর এ মামলায় এজাহারনামীয় সব আসামিসহ সিলেট রেঞ্জ পুলিশ ও র্যাব-৯ এর হাতে গ্রেপ্তার আটজনের মধ্যে সাতজনকে পাঁচদিন করে রিমান্ডে নিল পুলিশ। এর আগে গত সোম ও মঙ্গলবার দুই দফায় গ্রেপ্তার ছয় আসামিকে রিমান্ডে নেয়া হয়।
প্রসঙ্গত, গত ২৫ সেপ্টেম্বর শুক্রবার রাতে এমসি কলেজে স্বামীর সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার হন এক গৃহবধূ। রাত সাড়ে ৮টার দিকে স্বামীর কাছ থেকে ওই গৃহবধূকে জোর করে তুলে নিয়ে ছাত্রাবাসের সামনে প্রাইভেটকারের মধ্যেই পালাক্রমে গণধর্ষণ করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় কলেজের সামনে তার স্বামীকে আটকে রাখে দুজন।
এ ঘটনায় ভিকটিমের স্বামী বাদী হয়ে শাহপরান থানায় মামলা করেছেন। মামলায় ছাত্রলীগের ছয় নেতাকর্মীসহ অজ্ঞাত তিনজনকে আসামি করা হয়।