ঢাকা, সোমবার, ৪ অগাস্ট ২০২৫, ২:২০ পূর্বাহ্ন

বিক্রেতা নেই ১০ কোম্পানির

শেয়ারবাজারে দাম বাড়ার ক্ষেত্রে দাপট দেখিয়েই চলেছে জেড গ্রম্নপের প্রতিষ্ঠান। রোববার লেনদেন শুরু হতেই একের পর এক পচা কোম্পানির শেয়ার দাম বাড়তে থাকে। এতে লেনদেনের সময় আধাঘণ্টা পার হওয়ার আগেই জেড গ্রম্নপের দুটি প্রতিষ্ঠান দাম বাড়ার সর্বোচ্চ সীমা স্পর্শ করেছে।

এমন দাম বাড়ার পরও যাদের কাছে কোম্পানি দুটির শেয়ার আছে তারা কেউ তা বিক্রি করতে চাচ্ছেন না। ফলে ক্রেতা থাকলেও বিক্রেতা উধাও হয়ে গেছে। জেড গ্রম্নপের দুই কোম্পানির পাশাপাশি আরও আটটি কোম্পানির শেয়ারের বিক্রেতা উধাও হয়ে গেছে।

দীর্ঘ মন্দা কাটিয়ে শেয়ারবাজার ঊর্ধ্বমুখী ধারায় ফেরার পর থেকেই পচা কোম্পানির এই দাপট চলছে। রোববার লেনদেন শুরু হতেই কয়েক মিনিটের মধ্যে বিআইএফসির শেয়ার দাম বেড়ে দিনের সর্বোচ্চ সীমা স্পর্শ করে। এরপরও এক শ্রেণির বিনিয়োগকারীরা কোম্পানিটির শেযার বিক্রি করতে চাচ্ছেন না।

লেনদেনের শুরুতে ৩ টাকা ৮০ পয়সা করে বিআইএফসির ১০০০ শেয়ার কেনার প্রস্তাব আসে। এ দামে কেউ শেয়ার বিক্রি করতে রাজি না হওয়ায় এক লাফে ৪ টাকা ৪০ পয়সা করে ৩ লাখ ৬৬ হাজার ৭৬৩টি শেয়ার কেনার প্রস্তাব আসে। এতে দাম বাড়ায় সর্বোচ্চ সীমায় চলে যায় কোম্পানিটির শেয়ার। এ দামেও বিনিয়োগকারীরা শেয়ার বিক্রি করছেন না।

হঠাৎ শেয়ারের এমন দাম বাড়লেও দীর্ঘদিন ধরে কোম্পানিটি লোকসানের মধ্যে নিমজ্জিত। ফলে ২০১৩ সালের পর বিনিয়োগকারীদের কোনো ধরনের লভ্যাংশ দিতে পারেনি কোম্পানিটি। যে কারণে দীর্ঘদিন ধরে পচা ‘জেড’ গ্রম্নপে রয়েছে কোম্পানিটি।

অর্ধযুগ ধরে বিনিয়োগকারীদের কোনো ধরনের লভ্যাংশ দিতে না পারা আর এক পচা কোম্পানি প্রাইম ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট। লেনদেনের কয়েক মিনিটের মধ্যে এই কোম্পানিটিও দাম বাড়ার সর্বোচ্চ সীমা স্পর্শ করে। এরপরও কোম্পানিটির শেয়ারের বিক্রেতা উধাও অবস্থায় রয়েছে। দিনের লেনদেনের শুরুতে ৭ টাকা ৯০ পয়সা করে কোম্পানিটির ৩৫ হাজার ৪০০ শেয়ার কেনার প্রস্তাব আসে। এ দামে কেউ বিক্রি করতে রাজি না হওয়ায় দফায় দফায় দাম বাড়ে। এক পর্যায়ে ৮ টাকা ৮০ পয়সা করে ১ লাখ ৭৭ হাজার ৮৪০টি শেয়ার কেনার প্রস্তাব আসে। এ দামেও কেউ কোম্পানিটির শেয়ার বিক্রি করতে চাননি।

এই দুই কোম্পানির সঙ্গে দাম বাড়ার সর্বোচ্চ সীমা স্পর্শ করেছে এসএস স্টিল। এ কোম্পানিটিরও বিক্রেতা উধাও হয়ে গেছে। লেনদেনের শুরুতে ১২ টাকা ৩০ পয়সা করে কোম্পানিটির ৯০ হাজার ৩০০ শেয়ার কেনার প্রস্তাব আসে।

\হএরপর দফায় দফায় দাম বাড়িয়ে সর্বোচ্চ দাম ১৩ টাকা ২০ পয়সা করে ৮ লাখ ২ হাজার ৩৮৬টি শেয়ার কেনার প্রস্তাব আসে। এ দামেও যাদের কাছে কোম্পানিটির শেয়ার আছে তারা বিক্রি করতে রাজি হচ্ছেন না।

বিক্রেতা উধাও হয়ে যাওয়া বাকি কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে- জিপিএইচ ইস্পাত, জাহিনটেক্স, রিংশাইন টেক্সটাইল, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স সার্ভিসেস (আইএলএফএসএল), ফাস ফাইন্যান্স, ফু-ওয়াং সিরামিক এবং অ্যাপোল ইস্পাত।

নিউজটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন