ঢাকা, সোমবার, ৪ অগাস্ট ২০২৫, ৬:০৮ পূর্বাহ্ন

৩ লাখ টন গম আমদানি করবে ব্রাজিল

ব্রাজিল বিশ্বের চতুর্থ শীর্ষ গম আমদানিকারক দেশ। অভ্যন্তরীণ চাহিদার বেশির ভাগ আমদানি করা গম দিয়ে পূরণ করে দেশটি। এ কারণে ব্রাজিলের আমদানিতে উত্থান-পতন আন্তর্জাতিক বাজারে গমের মূল্য নির্ধারণে অন্যতম পভাবক হিসেবে কাজ করে। চলতি বছর শেষে আন্তর্জাতিক বাজার থেকে ব্রাজিল সব মিলিয়ে ৭৩ লাখ টন গম আমদানি করতে পারে। ব্রাজিলিয়ান অ্যাসোসিয়েশন অব ভেজিটেবল অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজ ও দেশটির কৃষিপণ্যবিষয়ক রাষ্ট্রায়ত্ত সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান কোনাব এমনটাই পূর্বাভাস দিয়েছে। খবর এগ্রিমানি ও বিজনেস রেকর্ডার।

ব্রাজিলিয়ান অ্যাসোসিয়েশন অব ভেজিটেবল অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজের এক নোটে বলা হয়েছে, চলতি বছর ব্রাজিলে সব মিলিয়ে ৭৩ লাখ টন গম আমদানির সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় দেশটিতে বেশির ভাগ গম আমদানি করা হবে আর্জেন্টিনা ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে।

কোনাবের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনা মহামারির মধ্যে চলতি বছর ব্রাজিলে গমের চাহিদা বেড়েছে। অনেক মানুষ আগেভাগেই খাবার কিনে বাড়িতে মজুদ করেছে। সরকারের পক্ষ থেকেও সম্ভাব্য খাদ্য সংকট এড়াতে বাড়তি গম কেনা হয়েছে। এর জের ধরে দেশটিতে কৃষিপণ্যটির চাহিদা ও আমদানি দুটোই বেড়েছে।

চলতি বছরের পথম ছয় মাসে (জানুয়ারি-জুন) আন্তর্জাতিক বাজার থেকে ব্রাজিলীয় আমদানিকারকরা সব মিলিয়ে ৩৫ লাখ টন গম আমদানি করেছেন বলে প্রতিবেদনে জানিয়েছে কোনাব। এ সময় আর্জেন্টিনা থেকে দেশটিতে সবচেয়ে বেশি গম আমদানি হয়েছে। পরিমাণ ছিল ৩১ লাখ ২০ হাজার টন। গত বছরের একই সময়ে আর্জেন্টিনা থেকে ব্রাজিলে ২৯ লাখ ৬০ হাজার টন গম আমদানি হয়েছিল।

অন্যদিকে চলতি বছরের পথম ছয় মাসে ব্রাজিলীয় আমদানিকারকরা যুক্তরাষ্ট্র থেকে সব মিলিয়ে ১ লাখ ৭২ হাজার টন গম আমদানি করেছেন। আগের বছরের একই সময়ে দেশটি থেকে ব্রাজিলীয় আমদানিকারকরা সব মিলিয়ে ৭২ হাজার টন গম আমদানি করেছিলেন।

বছরজুড়ে আর্জেন্টিনা ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে ব্রাজিলে গম আমদানিতে পবৃদ্ধি বজায় থাকতে পারে। এর মধ্য দিয়ে করোনাকালে ব্রাজিলে সব মিলিয়ে ৭৩ লাখ টন গম আমদানির পূর্বাভাস দিয়েছে কোনাব।

সম্প্রতি ব্রাজিলীয় আমদানিকারকরা যুক্তরাষ্ট্র থেকে ৬৩ হাজার ৫০০ টন গমের একটি চালান আমদানি করেছেন। চলতি বছর যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা এটাই দ্বিতীয় বৃহত্তম গমের চালান। এর আগে গত এপিলে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ব্রাজিলে ৬৯ হাজার টনের একটি গমের চালান আমদানি হয়েছে।

এদিকে মার্কিন কৃষি বিভাগের (ইউএসডিএ) ফরেন এগ্রিকালচারাল সার্ভিসের পতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২০ সাল শেষে ব্রাজিলে সব মিলিয়ে ৭১ লাখ টন গম আমদানির সম্ভাবনা রয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় ১ দশমিক ৩৯ শতাংশ কম। গত বছর ব্রাজিলে ২০১৮ সালের তুলনায় ২ দশমিক ৫৬ শতাংশ বেড়ে সব মিলিয়ে ৭২ লাখ টন গম আমদানি হয়েছিল। এর মধ্য দিয়ে টানা দুই বছরের মন্দা ভাব কাটিয়ে পবৃদ্ধিতে ফিরেছিল ব্রাজিলের গম আমদানি খাত।

তবে চলতি বছর শেষে ব্রাজিলের গম আমদানি নতুন করে কমে আসতে পারে। এর আগে ২০০৬ সালে দেশটির ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি গম আমদানির রেকর্ড হয়েছিল। ওই বছর আন্তর্জাতিক বাজার থেকে সব মিলিয়ে ৮০ লাখ ৪০ হাজার টন গম আমদানি করেছিলেন ব্রাজিলীয় আমদানিকারকরা।

নিউজটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন