সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মূল্য সূচকের নামমাত্র উত্থান হয়েছে। তবে পতন হয়েছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)।
এদিন লেনদেনের প্রথম মিনিটেই ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৩ পয়েন্ট বেড়ে যায়। সূচকের ঊর্ধ্বমুখী ধারা অব্যাহত থাকায় এক পর্যায়ে সূচকটি ৫০ পয়েন্ট বেড়ে যায়। কিন্তু শেষ ঘণ্টায় এসে একের পর এক প্রতিষ্ঠানের দরপতন হতে থাকে। এতে নিম্নমুখী হয়ে পড় সূচক। ফলে দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স দশমিক ৮৫ পয়েন্ট বেড়ে চার হাজার ৭৯৪ পয়েন্টে উঠে এসেছে।
অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক ৩ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৬৫০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আর ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক ৭ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ১০৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে। সূচকের এমন নামমাত্র উত্থানের দিন ডিএসইতে যে কয়টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে, কমেছে তার থেকে কম। দিনভর ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৭০ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। বিপরীতে কমেছে ১৪২টির এবং ৪৩টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
এদিকে মূল্য সূচকের সঙ্গে ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ কিছুটা বেড়েছে। দিনভর বাজারে লেনদেন হয়েছে ৯৩৭ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৯৩৬ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। সে হিসাবে আগের দিনের তুলনায় লেনদেন কমেছে এক কোটি ৯ লাখ টাকা।
টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকো ফার্মার। কোম্পানিটির ৬১ কোটি ৪৭ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বেক্সিমকো ৫১ কোটি ৬৮ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ৩৫ কোটি ৪৯ লাখ টাকার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ওরিয়ন ফার্মা।
এছাড়া লেনদেনের শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- আইএফআইসি ব্যাংক, বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, লাফার্জহোলসিম, খুলনা পাওয়ার কোম্পানি, গ্রামীণফোন এবং সামিট পাওয়ার।
অপরদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্য সূচক সিএএসপিআই কমেছে ৩১ পয়েন্ট। বাজারে লেনদেন হয়েছে ৩০ কোটি ৭ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেওয়া ২৭০টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১২২টির দাম বেড়েছে। কমেছে ১১৯টির এবং ২৯টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।